ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ চান্দিমাল, মাহমুদউল্লাহর জরিমানা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ চান্দিমাল, মাহমুদউল্লাহর জরিমানা দিনেশ চান্দিমাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ / ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কাছে হারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বড় ধরনের দুঃসংবাদ পেল শ্রীলঙ্কা। গুরুতর স্লো ওভার রেটের অপরাধে দিনেশ চান্দিমালকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।

চান্দিমালের ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজই হয়তো শেষ হয়ে গেল! স্বাগতিকরা ফাইনালে উঠতে পারলেই তার মাঠে ফেরা হবে। অবশ্য আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন লঙ্কান দলপতি।

কলম্বোতে শনিবার (১০ মার্চ) অনুষ্ঠিত হাইভোল্টেজজ ম্যাচটিতে রেকর্ড গড়ে জয়োল্লাসে মাতে টিম বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ২১৫ রানের টার্গেট ৫ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে টপকে যায় টাইগাররা। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৩৫ বলে ৭২ রানের বিস্ফোরক এক ম্যাচ জেতানো ইনিংস প্রদর্শন করেন ম্যাচসেরা মুশফিকুর রহিম।

এদিকে, ছোটখাট স্লো ওভার রেটের কারণে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। দলের অন্য সদস্যদের ১০ শতাংশ হারে।

জরিমানা আরোপ করেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪ ওভার পিছিয়ে ছিল চান্দিমাল ও তার দল। আইসিসির আচরণবিধির আর্টিক্যাল ২.৫.২ অনুযায়ী, এটা গুরুতর স্লো ওভার রেট। এতে ২ ওভার ঘাটতির জন্য প্রতি ওভারে খেলোয়াড়দের প্রত্যেকে ১০ শতাংশ হারে জরিমানার আওতায় পড়েন। বাড়তি প্রতি ওভারপ্রতি ২০ শতাংশ। ২টি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট পান অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার প্রতিটি খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি’র ৬০ শতাংশ কেটে রাখা হয়েছে।

২টি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট একটি টেস্ট অথবা দু’টি ওয়ানডে অথবা দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিষিদ্ধ হওয়ার সমান, যেটিই আগে আসুক। তাই ১২ ও ১৬ মার্চ যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না চান্দিমাল।

চান্দিমাল নিজের অপরাধ স্বীকার করেননি। শুনানি শেষে কঠিন শাস্তিই ঘোষণা করেছেন ব্রড। রোববার (১১ মার্চ) বিকেলের শুনানিতে ম্যাচ অফিসিয়ালস ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিম ম্যানেজমেন্ট উপস্থিত ছিল।

যদি শ্রীলঙ্কা চান্দিমালের নেতৃত্বে ১২ মাসের মধ্যে আরেকটি গুরুতর স্লো ওভার রেটের ঘটনা ঘটায় তবে এটি হবে চান্দিমালের দ্বিতীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে তার কপালে জুটবে ২ থেকে ৮টি সাসপেনশন পয়েন্ট।

নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল ১ ওভার। তাই বড় শাস্তি পেতে হয়নি। আর্টিক্যাল ২.৫.১ অনুসারে খেলোয়াড়রা ১০ শতাংশ ও অধিনায়ক এর দ্বিগুণ ম্যাচ ফি জরিমানা দিয়ে সেরে গেছেন। মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্বে আগামী ১২ মাসের মধ্যে দল আরেকটি ছোটখাট ওভার রেট করলে ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ অপরাধ ও শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

বলা বাহুল্য, কোড অব কন্ডাক্টের (আচরণবিধি) আর্টিক্যাল ৮.২ বলছে, নিষেধাজ্ঞার শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার রয়েছে চান্দিমালের। শুনানির ফলাফল মুলতবি থাকবে, যদি না নিয়োগ দেওয়া স্বাধীন জুডিশিয়াল কমিশনার ব্যাপারটি শোনার জন্য নির্ধারণ করেন। চূড়ান্ত কিছুর আগে ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে এবং চান্দিমাল একাদশে বিবেচিত হবেন না। শাস্তি বাড়ানো কিংবা কমানোর ক্ষমতা স্বাধীন জুডিশিয়াল কমিশনারের হাতে এবং তার সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। যেটি সব পক্ষই মানতে বাধ্য থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ১১ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।