সৌম্যর বিদায়ে ক্রিজে এলেন সাকিব। তার সঙ্গে দলকে মাত্র ৩ রান দিয়ে ফিরে যান দলকে বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি করে দেওয়া লিটন দাশ।
পরের অংশটুকু পুরোটাই সাকিব, মাহমুদউল্লাহর বীরত্বগাঁথা। ৫ম উইকেটে দু’জন মিলে করলেন ৯১ রান। তাতে কাজও হলো বিস্তর। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১১ রানের সংগ্রহ। ২১২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় ক্যারিবিয়ানরা ধসে গেল ১৭৫ রানে, বল বাকি ছিলো আরো ৪টি। দিন শেষে মহিমান্বিত জয় ধরা দিলো স্বাগতিক শিবিরে।
সিলেটে রীতিমতো উড়ে যাওয়া দলটি সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফিরলো। হাতছানি থাকলো টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়েরও। দারুণ এই কাঙ্খিত জয়ের পর তাই ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব না দিয়ে পারলেন না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান।
‘আমার মনে হয় আজকে আমাদের ভাল একটা দিন ছিলো। ফিল্ডিংয়ে একটু ঘাটতি ছিলো। তারপরেও মনে হয় সবমিলে ভাল একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। বোলারদের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করাটা কঠিন ছিলো। অনেক শিশির ছিলো। তবে যেহেতু ভাল একটি রান ছিলো। বোলাররা ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বল করতে পেরেছে। আমাদের ব্যাটিংটা খুবই ভালো শুরু করেছে। লিটন, সৌম্য ওটা টেনে নিয়ে গিয়েছি। এরপরে আমার ও রিয়াদ ভাইয়ের জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কারণ ওই সময় যদি আমরা উইকেট হারাতাম তাহলে হয়তো এত বড় রান হতো না। বাড়তি ২০-৩০টা রানের শক্তিটা পেতাম না। সেদিক থেকে বলবো ব্যাটিংই আজকে আমাদের আসল কাজটা করে দিয়েছে। ’
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন।
তবে এটাও ঠিক ২১১ রানের পরেও স্বস্তিতে ছিলেন না অধিনায়ক সাকিব। কেননা টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে ক্যারিবিয়ানরা দলটি কতটা পারঙ্গম সেটা তার চাইতে ভাল আর কে জানে?
‘ওদের ব্যাটিং লাইনআপটা অনেক বড়। সবাই বড় শট খেলতে পারে। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত ওদের ব্যাটিং অর্ডার শেষ হচ্ছিলো স্বাভাবিকভাবে চিন্তা তো একটু ছিলোই। ওদের ব্যাটিং অর্ডার পুরো ৯ পর্যন্ত। তাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেতার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটিই ছিলো বলতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এইচএল/এসআরএস