স্বল্প রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন কুমিল্লার ওপেনার আনামুল হক (০)। তৃতীয় ওভারেই পাকিস্তানের পেসার সোহেল তানভিরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন কুমিল্লার আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও (০)।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শামসুর ও ইমরুল। ৩৭ বলে ৫ চারে ৩৪ রান নিয়ে শামসুর ও ২২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন কুমিল্লা অধিনায়ক। জয় পেতে ১১.১ ওভার লাগলেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যান।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিপিএলের ১৬তম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। কিন্তু সিদ্ধান্তটি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে স্বাগতিকদের দিকেই।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট হারায় সিলেট। ২ বলে ৪ রান করা ফ্লেচারকে বোল্ড করে দেন কুমিল্লার মেহেদি হাসান। এক বল পরেই সিলেট অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকেও (০) বোল্ড করেন এই স্পিনার। ঠিক পরের বলেই আফিফ হোসেনকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মেহেদি।
মাত্র ২২ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে একসময় বিপিএলে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবতে বসেছিল সিলেট। কিন্তু সিলেটের ইনিংসে একমাত্র দুই অঙ্কের দেখা পাওয়া ব্যাটসম্যান অলক কাপালি সেই লজ্জার হাত থেকে দলকে রক্ষা করেন। ৩১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কাপালি। কিন্তু তার সঙ্গ দিতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। ফলে ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় সিলেট। এবার বিপিএলে এখনো পর্যন্ত এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় রান। এর আগে ৬৩ রানে অলআউট হয়েছে কুমিল্লা।
বল হাতে কুমিল্লার মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ২২ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ২.৫ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ৩ ওভারে মাত্র ৪ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছে লিয়াম ডসন। বাকি উইকেটটি গেছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দখলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএইচএম