এ মাসের শুরুতেই বিসিসিআই কোচের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়। যেখানে বলা হয় ৩০ জুলাই আবেদন করার শেষ দিন।
শাস্ত্রীর হয়ে ঢাল ধরা কোহলি বলেন, ‘রবি ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক আস্থার জায়গাটা দারুণ। দলের সবাই তাকে সম্মান করে। আর একটা গ্রুপ হিসেবে আমরা ভালো করছি। হ্যাঁ, আমরা খুব খুশি হবো যদি তিনি কোচিংয়ের দায়িত্বটা চালিয়ে যান। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। উপদেষ্টা কমিটির ওপরই সবকিছু নির্ভর করে। এই মুহূর্তে আমি তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। এমনকি আমি জানিও না প্রক্রিয়াটি কেমন হবে। ’
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে পরাজয়ের পর ভারতীয় দলের কন্ডিশনিং কোচ শঙ্কর বসু এবং ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্টকে বিদায় জানিয়ে দেয় বিসিসিআই। এরপর থেকেই আলোচনা চলছিল বাকি কোচিং স্ট্রাফদের ভবিষ্যত নিয়েও।
আসরটি শেষে প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী, ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার এবং বোলিং কোচ ভারত অরুণের মতো মূল তিন কোচিং স্টাফদের মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছিল। ফলে আগামী ৩ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর) পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাদের সবাইকেই নতুন করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে বিসিসিআই চাইছে নতুনের নিয়ে কাজ শুরু করতে।
২০১৭ সালে অনিল কুম্বলের বিদায়ের পর কোহলিদের কোচের দায়িত্ব পান শাস্ত্রী। যদিও কুম্বলের বিদায় আর শাস্ত্রীর নিয়োগ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। তখন শোনা গিয়েছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন কোহলি। তার জেদের কারণেই নাকি শাস্ত্রীকে নিতে বাধ্য হয়েছিল বিসিসিআই।
এর আগে ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ভারতীয় দলের পরিচালক ছিলেন শাস্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এমএমএস