২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন শ্রীশান্ত। ফলে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসিত করা হয় তাকে।
চলতি বছরের মার্চে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিসিসিআই’কে শ্রীশান্তের শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আদেশ দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এরপর আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিসিসিআইয়ের ন্যায়পাল ডিকে জেইন শ্রীশান্তের শাস্তি কমানোর ঘোষণা দিলেন। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিলেন, শ্রীশান্তের যে বয়স (৩০), তাতে পেসার হিসেবে তিনি সেরা সময়টা পেছনেই ফেলে এসেছেন।
এর আগে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন ও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সেলিম মালিকের ক্ষেত্রেও আজীবনের শাস্তি বাতিল করার নজির আছে। অন্যদিকে আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন এক প্ল্যান দুর্ঘটনায় মারা যান আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষিত সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ম হ্যান্সি ক্রনিয়ে। এসব যুক্তি দেখিয়েই শ্রীশান্তের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী সালমান খুরশিদ। তার মতে, শ্রীশান্তের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ম্যাচ পাতানো নিয়ে বোর্ডকে সব খুলে না বলা।
সব দেখেশুনে শ্রীশান্তের শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টম্বর থেকে ৭ বছরের নিষেধাজ্ঞা হিসাব করলে আগামী বছরের সেপ্টম্বরেই তার ফেরা কথা। তবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা তার জন্য কঠিনই হবে। কেননা, সেই ২০১১ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গেছে ২৭ টেস্টে ৮৭ উইকেট, ৫৩ ওয়ানডেতে ৭৫ উইকেট আর ১০ টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট শিকারি এই পেসারকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এমএইচএম