ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এখনও আশা দেখছেন মিরাজ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
এখনও আশা দেখছেন মিরাজ মেহেদী হাসান মিরাজ

ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে যে পরিস্থিতি তাতে অনেকটা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়, ম্যাচটা আফগানিস্তানই জিততে চলেছে। আবহাওয়া বাগড়া দিলে সর্বোচ্চ ড্র হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের জয় এখন প্রায় দিবাস্বপ্ন। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের কথা শুনলে তা মনে হবে না। কারণ বাংলাদেশের স্পিন-অলরাউন্ডার এখনও আশা হারাননি।

তৃতীয় দিন শেষেও চট্টগ্রাম টেস্টের লাগাম আফগানিস্তানের হাতে। ৮ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ২৩৭ রানের।

লিড এখন পর্যন্ত ৩৭৪ রানের। কাল সেটা চারশতে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে আফগানরা। আহামরি কিছু না ঘটলে দু'দিন হাতে রেখে তাই এখনই জয় দেখছে আফগানিস্তান।  

বাংলাদেশের জন্য কাজটা কতটা কঠিন তা এক পরিসংখ্যানেই পরিস্কার বোঝা যাবে। এর আগে চট্টগ্রামে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই এমন নজির আছে মাত্র ৭টি। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১৫ রানের বেশি রান তাড়া করে জেতার কীর্তিই নেই, সেখানে চারশ বা তার বেশি তো অলীক কল্পনা। তবে মিরাজের মত অবশ্য আলাদা।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে মিরাজ বললেন, ‘হাতে এখনও দুটো দিন আছে। আমরা চেষ্টা করে দেখতে পারি। প্রথমত, ওদের বাকি দুই উইকেট দ্রুত তুলে নিতে হবে। এরপর আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। ক্রিকেটে সবই সম্ভব। জেতা ম্যাচও হেরে যাতে পারে আবার হেরে যাওয়া ম্যাচও জেতা সম্ভব। এমন ঘটনা অনেক আছে। ’

প্রথম ইনিংসে যে দল ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে, সেই দল দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলবে এমনটা হয়তো পাঁড় টাইগারভক্তও ভাববে না। সবমিলিয়ে ম্যাচের অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য লজ্জার পরাজয় অপেক্ষা করছে। কিন্তু মিরাজ এই অবস্থায়ও আশার আলো দেখছেন। তবে স্বীকার করলেন বাস্তবতাও।

‘এত বিশাল রান তাড়া করা অনেক কঠিন কাজ। তারপরও চেষ্টা করতে তো বাধা নেই। দুদিন হাতে আছে। চেষ্টা করতে চাই। এরপর হেরে যাই কিংবা জিতে যাই, সেটা পরের ব্যাপার। আমাদের এখন উপায় একটাই, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।