গেল আসরে কুমিল্লার হয়ে খেলেছিলেন আফ্রিদি। আর চতুর্থ আসরে খেলেছিলেন অাফগান স্পিনার রশিদ খান।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে নাফিসা কামাল বলেন, ‘শহীদ আফ্রিদি তাবলীগে আছে, সেখান থেকে আমাদের বার্তা পাঠিয়েছে। সে জানতে চেয়েছে এমন সংবাদ ভুল কিনা। টুইটার, ওয়েব থেকে বিভিন্ন খবর নিয়ে সে আমাকে পাঠিয়েছে। তারা এটা গ্রহণ করতে পারছে না। রশিদ খান আমার চুক্তিতে ছিল। তাকে আমি দুই বছর পাইনি। সে বলেছে তোমাদের বিপিএলের কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমি কেন আমার দুইটা চুক্তি বাদ দিয়ে বিপিএল খেলতে আসব? তোমাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো পেশাদারিত্ব আসেনি যে আমি বিপিএল খেলব। ’
বিপিএলের শুরু থেকেই আছেন নাফিসা কামাল। ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো। ফলে বিসিবি’র সিদ্ধান্তে তার হতাশাও বেশি। বললেন, ‘আমি ছয় বছর বিপিএলের সঙ্গে জড়িত। আমার মনে হয় সবচেয়ে সিনিয়র মালিক আমি। দুটি শিরোপা আছে আমার। বিপিএলে আমাদের দলের কিছুটা হলেও অবদান রয়েছে। যেই নিয়ম চালু করা হয়েছে এবং আমরা যখন জানলাম যে আমাদের ফ্র্যাঞ্জাইজি এবার নেই। এখানে আমাদের কিছু হলেও কষ্টের জায়গা আছে। আমরা বিসিবি এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে সভা করেছি, কিছু দাবি ছিল আমাদের। শুধু ক্রিকেটের জন্যই, ফ্র্যাঞ্জাইজির লাভের জন্য না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইনিং করার ক্ষেত্রে তিনজন প্লেয়ার বাইরে থেকে নেয়া যাবে, আর লোকাল প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে সব নিলাম থেকে নেয়া হবে। কিন্তু আমাদের কথা ছিল এমন হলে লোকাল প্লেয়ারদের জন্য বায়াসড হয়ে যায়। বাইরে থেকে প্লেয়ার কিনলে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় এটা সত্যি কথা। কারণ ওদের নেগোসিয়েশনের জায়গা থাকে। যেটা লোকাল প্লেয়ারদের সঙ্গে হয় না। যে কারণে আইকন ছাড়া লোকাল প্লেয়াররা আমাদের কাছে সঠিক মূল্যে আসছে না, এটা আমাদের কাছে মনে হয়। ’
আগামী ডিসেম্বরে বিসিবি’র তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের সপ্তম আসর। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএমএম