আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই সিরিজে বাংলাদেশের এমন অনীহার কারণে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তান কোচ মিসবাহ উল হক। মিসবাহ বলেন, ‘আমি তাদের প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারটি বুঝছি না।
এর আগে গত শনিবার বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিসিবি ইতিমধ্যে পিসিবি'র কাছে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে। সুজন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের যোগাযোগ হচ্ছে। অবশ্যই তারা চাইবে পুরো সিরিজটা খেলার জন্য। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি এবং কেন চাচ্ছি না সে বিষয়গুলোও বলেছি। ওরা হয়তো তাদের দিক থেকে বিবেচনা করছে। আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি। '
মিসবাহ জানান, বাংলাদেশ আসছে জানুয়ারিতে সফর না করলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য ব্যাপারটি খুবই হতাশার কারণ হবে।
দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি মনেকরি পাকিস্তানে না আসার কারণ হিসেবে তারা অগ্রহণযোগ্য যুক্তি পেশ করেছে এবং এটা হলে পাকিস্তানের প্রতি অবিচার করা হবে। যখন অন্য দলগুলো কোনো সমস্যা ছাড়াই পাকিস্তানে আসা শুরু করেছে, সেখানে বাংলাদেশ অযথা যুক্তি দেখাচ্ছে। ’
মিসবাহ মনে করেন, নিজ দেশে টেস্ট না খেলে পাকিস্তান ইতোমধ্যে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আর বাংলাদেশ যদি না আসে তবে পাকিস্তানের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ খেলতে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২০ সালের গ্রীষ্মে।
‘আমাদের ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগই না পেলে কিভাবে আমরা তাদের পারফরম্যান্স বিচার করবো। টানা চার-পাঁচ মাস একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে খেলা না থাকলে ক্রিকেটাররা কিভাবে পারফর্ম করবে। ’
এদিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাকিস্তন সফর করে এসেছে এবং তাদের প্রতিবেদন ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে বিসিবি। সেই প্রতিবেদনের কথা মাথায় রেখেই বিসিবি তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই বিষয়ে আইসিসি'র মতামত নেয়া হবে বলেও জানান বিসিবি'র প্রধান নির্বাহী সুজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএমএস