ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এখন খেললে আরও ৪ হাজার রান বেশি করতেন শচীন-সৌরভ!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এখন খেললে আরও ৪ হাজার রান বেশি করতেন শচীন-সৌরভ! শচীন ও সৌরভ/ছবি: সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকে ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেট দলের দুই ওপেনার শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলী মানে 'ক্লাসিক জুটি'র অনন্য উদাহরণ। বাঁহাতি-ডানহাতি এই কম্বিনেশন তৎকালীন বিশ্ব ক্রিকেটে রীতিমত রাজত্ব করেছে। আইসিসিও অসাধারণ এই জুটির কীর্তি এক টুইটে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করল। দুই কিংবদন্তিও আইসিসি'র টুইটের জবাব দিলেন। তবে বেশ মজার ছলে।

শচীন ও সৌরভের একটি ছবি পোস্ট করে আইসিসি যে টুইট করেছে তাতে এই জুটির কিছু কীর্তি তুলে ধরা হয়েছে। ওয়ানডেতে দুজনের জুটিতে মোট রান এসেছিল ৮ হাজার ২২৭, যা এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে কোনো জুটির ক্ষেত্রে রেকর্ড।

এর সবচেয়ে বড় দিক হলো, অন্য কোনো জুটি এমনকি ৬ হাজার রানও করতে পারেনি। এই জুটির গড়ও রীতিমত অবিশ্বাস্য (৪৭.৫৫)।

আইসিসি'র টুইট প্রথমে রি-টুইট করেন শচীন। যেখানে তিনি গাঙ্গুলীকে ট্যাগ করে লেখেন, 'এটা অনেক দারুণ সব স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো, দাদি (গাঙ্গুলীকে দাদি বলে ডাকেন শচীন)। বর্তমান নিয়মে যেখানে ৪ ফিল্ডার রিংয়ের বাইরে রাখা এবং দুটি নতুন বল দিয়ে খেলা বাধ্যতামূলক, এই সময় এসে আমরা আর কত বেশি রান করতে পারতাম?'

জবাবে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট লেখেন, 'আরও ৪ হাজার কিংবা তারও বেশি... ২টি নতুন বল... বাহ... মনে হচ্ছে যেন প্রথম ওভারেই কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি পার...। '

শচীন, গাঙ্গুলীর ক্যারিয়ারের সূর্য অস্তমিত হওয়ার সময় থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশকিছু নতুন নিয়মের আগমন ঘটে। এক বল দিয়ে খেলার বদলে বল পুরনো হয়ে গেলে নতুন বল (সাধারণত ৩০-৩৫ ওভারে) নেওয়ার ব্যবস্থা আছে এখন। এমনটা প্রতি ফিল্ডিং টিমের জন্যই প্রযোজ্য।  

এখন ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। নন-পাওয়ার প্লে ওভারগুলোতে ৩০ গজের মধ্যে ৪ জন ফিল্ডার রাখা বাধ্যতামূলক। ফলে ব্যাটসম্যানরা সহজেই স্ট্রোক খেলার সুযোগ পাচ্ছে।

শচীন, সৌরভদের জামানায় বিষয়টা একবারেই আলাদা ছিল। এখনকার ক্রিকেটাররা আবার মারকাটারি টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা তো আছেই। ফলে ব্যাটসম্যানদের স্ট্রোক খেলার দক্ষতাতেও পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এতসব পরিবর্তন সত্ত্বেও শচীন-গাঙ্গুলীর রেকর্ড এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।