শনিবার (১৬ মে) দুপুরে বাগেরহাট শহরের পূর্ব বাসাবাটি এলাকার ৩ শতাধিক মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ শাড়ি ও লুঙ্গি পৌঁছে দেন তিনি। এসময় তার বড় ভাই সাগর হোসেনসহ এলাকার ভক্তরা সঙ্গে ছিলেন।
জাতীয় দলের পেসার রুবেলকে নিজ বাড়িতে দেখে এবং তার হাত থেকে উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে।
স্থানীয় রঞ্জিত, রিনা বেগম, আবেদা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, ছোটবেলায় রুবেলকে দেখেছি। অনেকদিন কাছ থেকে দেখিনি। শুধু টিভিতে তার খেলা দেখি। যখন শুনতাম রুবেল খেলবে তখন মনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করত। আজ অনেকদিন পর রুবেল আমাদের বাড়িতে আসলেন। সঙ্গে আমাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছেন। এতে আমরা খুব খুশি হয়েছি।
আল্লাহ রুবেলকে বাঁচাইয়া রাখুক। রুবেল আরও সুনাম অর্জন করুক দোয়া করেন সবাই।
স্থানীয়দের মধ্যে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ শেষে রুবেল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অবস্থা খুব করুণ। এ অবস্থায় তারা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কিছুই করতে পারছে না। অনেক গরিব মানুষ আছেন যারা ঈদে নতুন কাপড়ও কিনতে পারবেন না। তাই মানবিক দিক থেকে আমি আমার এলাকার তিনশ মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেছি।
এছাড়া অনেককে খাদ্যসামগ্রীও দেওয়া হয়েছে। আশাকরি আমাকে দেখে সব বিত্তবানরা এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসবেন। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরে জাতীয় দলের এই খেলোয়াড় রুবেল হোসেন মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য বাগেরহাটে ২০টি ইনফ্রারেড থার্মাল স্ক্যানার দেন। নিজ বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফ, ভাড়াটিয়া ও এলাকাবাসীর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এভাবে করোনা পরিস্থিতে এলাকার মানুষের পাশে রয়েছেন জাতীয় দলের এই পেসার রুবেল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
আরএ