ভারতে এখন করোনা মোকাবিলায় চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবারের লকডাউন ঘোষণার সময় স্টেডিয়াম ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স খোলার অনুমতি দেন।
আইপিএল'র ১৩তম মৌসুম শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনার জেরে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায়। তবে স্টেডিয়ামকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার ঘোষণায় আশায় বুক বাঁধছে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে এখনও সংশয় কাটেনি।
শোনা যাচ্ছে, কমপক্ষে দুই বছর পিছিয়ে যেতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২৮ মে আইসিসি'র বৈঠকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদি এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যায় সেটা আইপিএলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে।
আইপিএল আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'টিসিএম'কে রাহুল জহুরি বলেন, 'আইপিএলের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। এমনকি জাতীয় নির্বাচনে যত ভোটার ভোট দেয় তার চেয়েও বেশি মানুষ আইপিএল দেখে। পৃষ্ঠপোষকদের জন্য এটা উপার্জনের বড় উপায়। বোর্ডেরও আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ এটা। তবে সবকিছু একদিনে ঠিক হবে এমন আশা করা ঠিক না। আবার এরপর বর্ষা শুরু হবে। বর্ষার পর আশা করা যায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে। '
এমনকি অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলেও আইপিএল আয়োজন কঠিন হবে বলে জানালেন জহুরি। তার মতে, ওই সময় আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হলে বিদেশি খেলোয়াড়দের আনা সম্ভব। কিন্তু অনুশীলনে নামার আগে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। সবমিলিয়ে ঝামেলা মোটেও কমবে না। তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় বিসিসিআই। কারণ সোনার ডিম পাড়া হাঁসটির দিকে তাকিয়ে আছে পুরো ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এমএইচএম