স্মিথ ছাড়াও ডেভিড ওর্য়ার্নার এবং মিচেল স্টার্কও ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হওয়ার আগে প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য রিপোর্ট করেছেন। ‘ক্লোজড ডোর’ বা দরজা বন্ধ রেখেই অনুশীলন শুরু হয়েছে অজিদের।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে স্মিথ বলেছেন, ‘সম্ভবত আমি এই বছরের সেরা সময়ে আছি। বাসায় অনেক রানিং ও জিম করেছি। এই দুই মাসে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। ’
আন্তর্জাতিক মৌসুমের জন্য এই সপ্তাহে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) তাদের সূচি চূড়ান্ত করেছে যেটা আগামী ০৯ আগস্ট থেকে শুরু হবে। স্মিথ জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে বিরতির এই গত দুই মাস ব্যাট হাতে নিতে পারেননি। যার কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে বাধ্য করেছি। ’
স্মিথ বলেন, ‘সত্যিই আমি ব্যাট হাতে নিতে পারিনি। বাসায় নিজে কিছু ড্রিল করেছি, এরচেয়ে বেশি কিছু না। তাই আমি ব্যাটিং অনুশীলন বন্ধ করে রেখেছিলাম। যার কারণে মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখার দিকে বেশি মনযোগী হতে বাধ্য হয়েছি। ’
ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলও সোমবার জীবাণুমুক্ত পরিবেশে অনুশীলনে ফিরেছে। স্মিথ ২০১৯ সালের কঠিন সময় পার করার জন্য এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা একটু ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হবে। তবে আমি নিশ্চিত যে, বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের আগে এই জিনিসটা ভালো হবে নিজেদের উজ্জীবিত রাখার জন্য। ’
চলমান স্বাস্থ্য সংকটের কারণে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আর্থিক ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। যার কারণে তারা প্রায় ২০০ কর্মীকে ছাটাই করেছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অনিশ্চয়তার কারণে এই আর্থিক সংকট দূর করার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে আগামী ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
আরএআর/ইউবি