কিন্তু উন্নত বিশ্বের জনগণ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়রাও শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও বেশ সচেতন। মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুতে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার মার্কাস ট্রেসকোথিক এবং অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যেভাবে স্বাধীনভাবে মুখ খুলতে পেরেছেন, তা বাংলাদেশে কি আদৌ সম্ভব হতো? এ ধরনের কোনো ঘটনা এখনও ঘটেনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে।
তবে টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন, ক্রিকেটাররা যাতে নিজেদের মানসিক অবসাদ স্বাধীনভাবে প্রকাশ করে তার জন্য তিনি প্রস্তুত। ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টভাষী হবে আশা করে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক মতামতে তিনি এ কথা জানান।
কোচ ডোমিঙ্গে বলেন, ‘মানসিক অবসাদ এমন এক বিষয়, আমি মনে করি খেলোয়াড়দের এটা নিয়ে সৎ হওয়া প্রয়োজন। এসব বিষয়ে কথা বলা নিয়ে সব খেলোয়াড় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। তবে আমরা এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় যেখানে আমাদের দল, আমাদের খেলোয়াড়রা কেমন বোধ করছে, তাদের বিশ্রাম দরকার কিনা এবং বিষয়টা মানসিক নাকি শারীরিক, এসব বিষয় নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে। এটার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে কারণ এটি খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ’
বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করেন, বিভিন্ন ‘সামাজিক বাস্তবতা’র কারণে বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নেওয়া হয় না।
১৮ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলে যাওয়া পেসার বলেন, ‘আমাদের এখানে মানসিক স্বাস্থ্য তেমন গুরত্বপূর্ণ নয়। আমাদের সমাজ বাস্তবতা ভিন্ন। মার্কাস ট্রেসকোথিক বা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো মানসিক শ্রান্তি নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই আমাদের। যদি কেউ বলে, সে অসুস্থবোধ করছে তখন আমরা অনুমান করি, সে কোনো বাহানা বানানোর চিন্তা করছে। এমনকি অনেক লোক ওভাবে বিষয়টা অনুভব করে না। যারা করে, তারা প্রকাশ করে না অথবা বলার প্রয়োজনবোধ মনে করে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২০
ইউবি