পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে পেসারদের সাফল্যের দেখা মিলছে না। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পাশাপাশি পেসারদের এমন ব্যর্থতা দলকে ঘুরপাক খাওয়াচ্ছে ব্যর্থতার বৃত্তে।
শেষ টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে সংবাদমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘এটা যেদিন আল্লাহ দেয়। এ ছাড়া আর কী বলব। প্রচুর অনুশীলন করে, ৬ ফুট লম্বা, ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে। কিন্তু কোচ তো কাউকে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না। এটা কমন সেন্সের বিষয়। কোচরা অনুশীলন করায়, কিন্তু খেতে তো হবে আপনার। চিবোতে হবে আপনার। আপনি যদি চিবোতে না পারেন। মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেয়েছে? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেত?’
সাবেক এই অধিনায়ক নিজেদের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'তখন তো আমরা আরও পারতাম না, আরও জানতাম না। এখন তো আমাদের বোলিং কোচ আলাদা, এই কোচ, ওই কোচ আলাদা। প্রশ্নটা বোলিং কোচের কাছে করলে ভালো হতো। উইকেটে বল ধরছিল কিন্তু এরপরও আমরা পেছনে পেছনে বল করেছি। এটা তো বোলিং কোচ উত্তর দেবে। বোলিং কোচের পরিকল্পনা যদি প্রয়োগ করতে না পারে তাহলে কোচকে জিজ্ঞাসা করবে। '
তিনি আরও বলেন, 'কোনটা পেসারদের শক্তির জায়গা, কোনটা দুর্বলতার জায়গা- সেটা কোচেরা জানবে। আমি একটা ম্যাচের কথা বলি। জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ম্যাথু হেইডেন ব্যাটিং করছিল অস্ট্রেলিয়াতে, আমি তখন অধিনায়ক। ডেভ হোয়াটমোর পরিকল্পনা দিয়েছেন, ওদের শক্তির জায়গায় না করতে। আমরাও বাইরে বোলিং করে গেছি। আমার কথা হলো, আমি যত জোরেই বল করি না কেন, দক্ষতা একটা ভিন্ন জিনিস। দক্ষতা আলাদা, বোধ–বুদ্ধিও আলাদা। '
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
আরইউ