চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: খাদ্যচক্রের অংশ হিসেবে আমরা প্লাস্টিক খাচ্ছি, প্লাস্টিক পান করছি। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসে গ্রহণও করছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান এক সেমিনারে এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান বলেন, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। তবে তা ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর কারণ হলো আমরা মানুষকে প্লাস্টিকের বিকল্প দিতে পারিনি। প্লাস্টিক সস্তা ও বহনযোগ্য হওয়ায় মানুষ এটাই ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে পচনশীল বস্তু ব্যবহার করা। এ ছাড়া ব্যবহৃত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করেও দূষণ রোধ করা যায়। অর্থাৎ পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো জিনিস পরিবেশে যেতে দেওয়া যাবে না। তবে রিসাইক্লিংকে একমাত্র সমাধান না ধরে প্লাস্টিকের বিকল্প উদ্ভাবন নিয়ে ভাবতে হবে। বন পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে প্লাস্টিকের প্রভাব কমানো যেতে পারে। যা আমাদের টেকসই উন্নয়নের অনেক লক্ষ্য পূরণেও সাহায্য করবে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ইনস্টিটিউট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মমিনুর রশিদ আমিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেন, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।
এর আগে সকাল ১০টায় আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে র্যালি এবং পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অতিথিরা। দুপুর ১২টায় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে থিমেটিক প্ল্যাকার্ড প্রতিযোগিতা ও সেমিনার শেষে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এমএ/টিসি