ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্ত্রীকে হত্যা করে দাফন, নয় দিন পর মরদেহ উত্তোলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
স্ত্রীকে হত্যা করে দাফন, নয় দিন পর মরদেহ উত্তোলন ...

চট্টগ্রাম: স্ত্রীকে হত্যা করে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করেছিলেন স্বামী। দাফনের ৯ দিন পর কবর থেকে ওই নারীর মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

স্বামীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার পশ্চিম খাদিরখিল এলাকা থেকে আসমা আক্তার (২৭) নামের ওই নারীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

আসমার স্বামীর নাম কাজী শাহেদুজ্জামান রিমন (৪২)।

তার বাড়ি পশ্চিম খাদিরখিল এলাকায়। এই দম্পতি নগরের পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় থাকতেন। টেকনাফের বাসিন্দা মো. আলমের মেয়ে আসমা চাকরির জন্য চট্টগ্রামে এসে ১০ বছর আগে রিমনকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ৯ বছর বয়সী এক ছেলে এবং তিন বছর ও ১০ মাস বয়সী দুইটি মেয়ে আছে।

আসমার বাবা মো. আলমের অভিযোগ, গত ১০ জুন বিকেলে রিমন তাকে ফোন করে জানায় আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি নিয়ে রিমনের অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন এবং একপর্যায়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে শাহেদুজ্জামান তার ফোনটি বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে আসমার বাবা পতেঙ্গার খেজুরতলা এলাকায় আসেন। মেয়ের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, তারা মৃত আসমার গলায় দাগ দেখেছেন। এই ঘটনায় আসমার বাবা আলম বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন।  

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসেন জানান, গত ১২ জুন আসমার বাবা পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন তার মেয়েকে হত্যা করে জামাতা মরদেহ গুম করেছেন। গত ১৪ জুন রিমনকে ইপিজেড থানার কাজী গলি এলাকা থেকে গ্রেফতার ও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে রিমনকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী আসমাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। লক্ষ্মীপুরের নিজ এলাকায় আসমাকে দাফন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।