ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই মোস্তাকিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
সেই মোস্তাকিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিম ওরফে মোস্তাকিম।

চট্টগ্রাম: স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুকের দাবিতে দায়ের করা মামলায় সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিম ওরফে মোস্তাকিমের (২৪) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালত এ আদেশ দেন।

মুনতাকিম ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকার সৈয়দ মৌলনা মোহাম্মদ খালেদ আজমের ছেলে। তিনি হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ লালিয়ারহাট তৈয়বিয়া পাড়ায় বসবাস করেন।

 

গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী এম জাফর আলম। তিনি বলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিমের স্ত্রী হাবীবা আকতারকে মারধর ও যৌতুক দাবি করায় আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে মুনতাকিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।  

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ইসলাম ধর্মের বিধি বিধান ও সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিমের সঙ্গে হাবীবা আকতারের ১৫ লাখ টাকার কাবিনে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন স্বামী। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ জুন ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে জোরপূর্বক স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং বলে দেন ‘এক সপ্তাহ পর ৫ লাখ টাকাসহ আনতে যাব। ’

গত ১৭ জুন বিকেলে স্ত্রীর বাড়িতে মুনতাকিম গেলে ব্যবসার জন্য পুনরায় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। স্ত্রী যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মুনতাকিম স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও শরীরের বিভিন্ন জায়াগায় মারাত্মকভাবে জখম করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্ত্রীর মা, বাবা ও বোন মুনতাকিমকে জিজ্ঞেস করে কেন হাবীবাকে মারধর করছে। উত্তরে মুনতাকিম বলেন, আমি ব্যবসা করতে পারছি না টাকার জন্য, তাকে ৫ লাখ টাকা দিতে বলেছি। যৌতুকের টাকা না পেলে হাবীবাকে সংসারে ফিরিয়ে নেবেন না বলে বের হয়ে যান মুনতাকিম। এছাড়াও স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করার কথাও বলেন। এ ঘটনার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ ও খোঁজ রাখছেন না মুনতাকিম।  

মুনতাকিম চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করেন। আন্দোলন থেকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে নির্যাতনের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নগরের পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও এসআই আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করে সারাদেশে আলোচনায় এসেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৩ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।