ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সামাজিক কার্যক্রম মূল্যায়নের পরিকল্পনা চবি কর্তৃপক্ষের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সামাজিক কার্যক্রম মূল্যায়নের পরিকল্পনা চবি কর্তৃপক্ষের ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: পৃথিবীর বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সামাজিক কার্যক্রম মূল্যায়ন করা হয়। আগামীতে আমাদের পরীক্ষার মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও কিভাবে শিক্ষার্থীদের সামাজিক কার্যক্রমগুলো মূল্যায়ন করা যায়, সেই পরিকল্পনা করছি আমরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (সিইউডিএস) উদ্যোগে ২৯তম ডিবেট ও পাবলিক স্পিকিং ওয়ার্কশপের সমাপনী পর্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান এ কথা বলেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।

সমাপনী অনু্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম নছরুল কদির, সিইউডিএস-এর মডারেটর অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন।

শিক্ষার্থীদের বিতর্কের সঙ্গে পরিচয় করানো এবং তাদের আদর্শ বিতার্কিক ও বক্তা হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপে পাবলিক স্পিকিং, নোভিস ডিবেট বাংলা এবং নোভিস ডিবেট ইংলিশ- এ ৩টি সেগমেন্টে মোট ৭০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।  

মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন বলেন, ১১টি দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে এক নম্বরেই রাখা হয় যোগাযোগের দক্ষতাকে। রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং, লিসনিং- এগুলো হলো যোগাযোগের মাধ্যম। বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি শেখানো হয় রাইটিং। কিন্তু যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে কম ব্যবহৃত হয়। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় স্পিকিং। আর বিতর্ক সংগঠনগুলো এই কাজটাই করে থাকে। আমাদেরও এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকে আসে আর্নিংয়ের জন্য, অনেকে আসে লার্নিংয়ের জন্য। অথচ লার্নিংয়ের মধ্যেই আর্নিং আছে। আর সিইউডিএস লার্নিংয়ের কাজটাই করে যাচ্ছে।  

অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করতে হবে। শুধুমাত্র একাডেমিক এক্সিলেন্স নয়, বরং সবদিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছে। প্রশাসন আমাদের ডাকে সবসময়ের মতো সাড়া দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন যারা দেখেন, তারাই প্রকৃত দেশ প্রেমিক।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম নসরুল কদির বলেন, যুক্তিতর্কটা আসলে কি? এটি হলো যোগাযোগ, বিশ্লেষন, ক্রিটিক্যাল চিন্তা। আমি আপনাদের এই কাজগুলোর তারিফ করি।

চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি প্রায় সব বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময় করার চেষ্টা করছি। আমরা চাচ্ছি কারিকুলারের সঙ্গে কো-কারিকুলারের সমন্বয় সাধন করতে। যাতে করে ইউজিসি যে শিক্ষার্থীদের যেই ৩১টি স্কিল অর্জনের কথা বলেছে, সেই আলোকে কিভাবে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলা যায় সেটাই চেষ্টা করছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করবো একাডেমিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়, আমরা এরকম সময়ে কোনো অনুষ্ঠান না রাখার চেষ্টা করবো। কোনো প্রোগ্রাম রাখতে হলে আমরা ২টার পরে রাখতে পারি। আর খুব বেশি প্রয়োজন হলে ১২টার পরে রাখবো। তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়ার একটা সুন্দর পরিবেশ পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।