ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে হবে: সিএমইউজে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে হবে: সিএমইউজে ...

চট্টগ্রাম: জুলাই বিপ্লবের সুফল ধরে রাখতে দেশের গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোসরমুক্ত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিএমইউজে নেতারা। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান বিগত ১৮ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকা পেশাজীবী এ সংগঠনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান। সংগঠনের সভাপতি শাহ নওয়াজের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান ও দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল।

বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি মুস্তাফা নঈম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির আহবায়ক মঈন উদ্দিন কাদেরী শওকত, সিএমইউজে সদস্য শহিদুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, সিএমইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মাহবুব মাওলা রিপন, মোহাম্মদ হোসেন, আবু সুফিয়ান, কামরুল হুদা, জোবায়েরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, বজলুল হক, দৈনিক আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আবু বকর প্রমুখ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, নীলা আফরোজ, তানভীর শরীফ, ইব্রাহীম কুরায়শী, লুৎফর রহমান রোহান, ছাত্র প্রতিনিধি বায়াতুল্লাহ বায়াত প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে নির্লজ্জ ভূমিকা রেখেছিল কিছু গণমাধ্যম এবং তাদের মালিক ও কর্মীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে বাছাই করে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। গণভবনে গিয়ে সাংবাদিক নেতারা ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহির পরিবর্তে চাটুকারিতায় লিপ্ত ছিলেন। আমরা অবিলম্বে দেশবিরোধী সেই চাটুকারদের আইনের আওতায় আনার  দাবি জানাই।  

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ বার বার পরিবর্তন করা হয়েছে উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিক সাগর এবং রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন আওয়ামী লীগ সরকার ১১১ বার পরিবর্তন করেছিল। মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের উদ্যোগ দৃশ্যমান হলেও আমরা চাই এটি আরো  দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে  ৬৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিলো। আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারের জোর দাবি জানাই এই সমাবেশ থেকে।  

সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে আইন প্রণয়ন করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রকৃত গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি না হন সেই বিষয়টি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।