ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইমামদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ ধর্ম উপদেষ্টার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৪
ইমামদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ ধর্ম উপদেষ্টার ...

চট্টগ্রাম: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইসলামের অনেক বড় বড় জ্ঞানীরা ব্যবসায়ে জড়িত ছিলেন। হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ মদিনার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন।

তাদের দেখানো পথে আলেম সমাজ এগিয়ে আসলে তারা পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাবে। তাই ইমামদের ইমামতির পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।
 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) পাহাড়তলীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ইমাম প্রশিক্ষণ কোর্সের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান উপস্থিত ছিলেন।  

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইমামদের বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত, কোরআন তাফসির, হাদিস, আকায়েদ, ফতোয়া, ইসলামি উত্তরাধিকার আইন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে আসছে। ইমামদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য ব্যবসায়ের মাধ্যমে যাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। ব্যবসার জন্য আর্থিক সহায়তা লাগলে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। এখানে কোনো সুদ নেই শুধু কিস্তি আকারে ধাপে ধাপে পরিশোধ করবেন। তবে এ ঋণের শর্ত প্রশিক্ষিত ইমাম হতে হবে। প্রশিক্ষিত না হলে তাকে ঋণ দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ব্যবসা করা কোনো দোষের না কিন্তু মজুদদারি করে কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়ানো, ওজনে কম দেওয়া এগুলো হারাম। আলেম সমাজ ব্যবসায়ে জড়িত থাকলে জাতি হারাম থেকে বাঁচবে। কিছু আলেম রয়েছে যারা সারাজীবন অথবা রমজান আসলে মানুষের কাছে গিয়ে হাত পাতে যেটা অত্যন্ত অসম্মানের কাজ। হাদিয়া দেওয়া হচ্ছে সুন্নত কিন্তু নিজ থেকে চাওয়াটা অন্যায়। অন্যর ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকায় কোনো সম্মান নেই। নিজ উদ্যোগে হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন করে সেগুলো নিয়ে ব্যবসা করার মাধ্যমেই সম্মান অর্জন করা সম্ভব। সারাদেশে ৮টা সেন্টারের মাধ্যমে ইমামদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ইমামরা সমাজের চালিকা শক্তি। সবার সাথে ইমামদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অবক্ষয়মুক্ত সমাজ, ধর্মীয় অনুশাসন ও মানুষকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে ইমামদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই ইমামরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হলে সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।