ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চসিকে যে দুর্নীতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র বের হওয়া উচিত’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
‘চসিকে যে দুর্নীতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র বের হওয়া উচিত’ ...

চট্টগ্রাম: নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা এবং মেয়ররা মিলে যে দুর্নীতি করেছে তার শ্বেতপত্র বের হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।  

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নগরের চকবাজার কাঁচাবাজার এলাকায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, জনগণের সেটা জানা উচিত এবং জনগণই বিচার করবে দুর্নীতির জন্য তাদের কী শাস্তি পাওয়া উচিত। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে আমি যাচ্ছি।

প্রতিটা ওয়ার্ডে যাওয়ার পরে সুনির্দিষ্ট কিছু দুর্নীতির চিত্র আমি দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে আপনারা দেখেছেন আমি যখন বিপ্লব উদ্যানে দেখলাম ২৫টা দোকান থেকে অলরেডি ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে এবং সেখানে সিটি করপোরেশন পুরো এক বছরে পেত মাত্র এক লাখ টাকা। অথচ সেখানে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা প্রতিবছর আয় করার কথা ছিল। এই যে একটা দুর্নীতি মেয়র এবং কাউন্সিলররা মিলে করেছে আমি একে একে সব দেখতে পাচ্ছি।  

মেয়র চকবাজার ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হাজিরা নেন এবং স্থানীয়দের কাছে তাদের কাজের পারফরম্যান্স জানতে চান। এরপর মেয়র চকবাজার এবং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়কের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন। এ সময় মেয়র ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট বিতরণ করেন।  

মেয়র বলেন, গত সরকারের আমলে প্রত্যেক কাউন্সিলর প্রতিটি ওয়ার্ডে ৬০, ৭০, ৮০, ৯০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী রেখেছে। তারা ঠিকমত জনগণের কাজ করছে কিনা সেটা সরাসরি তাদের কাছ থেকে জানার জন্য আমি হাজিরা নিচ্ছি। আমি জনগণকে জিজ্ঞেস করছি তাদের দেখা গিয়েছিল কিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে। কারণ তাদের কাজটাই হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং ওই জন্য তারা করপোরেশন থেকে টাকা নিচ্ছে। একেকজন প্রায় ১৪-১৬ হাজার টাকা করে টাকা নিচ্ছে কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার যে মূল লক্ষ্য সেটা বাস্তবায়ন করছে কিনা তা দেখার জন্য প্রতিটা ওয়ার্ডে যাচ্ছি।  

যে জায়গায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আপনাদের সেবা দিচ্ছেন না আমাদের জানাবেন, ব্যবস্থা নেব। ইনশাআল্লাহ জনগণের যেকোনো সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।  

চসিক মেয়র বলেন, আমরা মস্কুবান নামের একটি ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করছি মশা মারতে। এছাড়া উন্নত দেশগুলোতেও খোঁজ নিচ্ছি মশা মারার ভালো ওষুধের জন্য। বর্তমানে যেসব ওষুধ আমাদের সংগ্রহে আছে সেগুলোর মানও পরীক্ষা করা হচ্ছে।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।