চট্টগ্রাম: ফটিকছড়ি থানার প্রবাসী নেছার আহমেদ তোতা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জংগুকে দীর্ঘ ২১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। জংগু (৪০), একই থানার শাহনগর এলাকার খায়ের আহমদের ছেলে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এআরএম মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জংগু রাঙ্গুনিয়া থানার রানীরহাট অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত পৌনে আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রবাস ফেরত নেছার আহমেদ তোতাকে হত্যা করে এবং মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
র্যাব-৭ জানিয়েছে, নেছার আহমেদ তোতা গত ২০০৩ সালে দুবাই থেকে দেশে ফেরত আসেন। তোতার কাছ থেকে একই এলাকার বাসিন্দা এজাহার মিয়া অনেক দিন আগে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেন। তোতা দেশে ফেরার পর তার পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে এজাহার মিয়াকে একাধিকবার চাপ দিলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তোতা এবং এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ল্যাডা নাছিরের মধ্যে আগে থেকে শত্রুতা চলে আসছিল। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী নাছির এজাহার মিয়ার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে দেবে বলে ভিকটিম নেছার আহমেদ তোতাকে আশ্বস্ত করে কৌশলে ভিকটিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে।
পরে টাকা উদ্ধারের জন্য ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ল্যাডা নাছির এবং তার সহযোগীরা তোতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। একই বছরের ২ নভেম্বর লোক মারফত জানতে পারেন যে, দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কের ওপর অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা গলাকাটা মরদেহটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন। নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ফটিকছড়ি থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ প্রতিবেদন এবং মামলার সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ২০২১ সালের ৮ মার্চ মামলার ৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
এমআই/টিসি