ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কর্ণফুলীর পাড়ে নির্মিত হবে ২৪ ফুট উঁচু সড়ক-বাঁধ

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
কর্ণফুলীর পাড়ে নির্মিত হবে ২৪ ফুট উঁচু সড়ক-বাঁধ উঁচু সড়ক-বাঁধ

চট্টগ্রাম: আউটার রিং রোড প্রকল্পে কর্ণফুলীর পাড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ফুট উঁচু সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৮০ ফুট প্রশস্ত চারলেন সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হচ্ছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই। 
 

কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষে নগরীর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল আউটার রিং রোড প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
প্রকল্পটির পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আউটার রিং রোড প্রকল্পটি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ লক্ষ্যে সিডিএ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জরিপ ও ডিজাইনের কাজ শেষ করেছে। কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।  

‘অ্যাসেসমেন্ট মন্ত্রণালয়ে সাবমিট করা হয়েছে। এর অনুমোদন হলেই জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হবে। বর্ষা মৌসুমের আগেই এ প্রকল্পের অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। ’ 

জানা যায়, আউটার রিং রোড প্রকল্পে কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ফুট উঁচু ও ৮০ ফুট প্রশস্ত চারলেনের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। রাস্তার পাশাপাশি নগরীর ১২টি খালের উপর ব্রিজ তৈরি করে রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ব্রিজের সঙ্গে প্রতিটি খালের মুখে থাকবে জোয়ার প্রতিরোধক রেগুলেটর এবং পাম্প। যেটি জোয়ার-ভাটা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।
 
এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে আউটার রিং রোড প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। নগরীর চান্দগাঁও, বৃহত্তর বাকলিয়া, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট, কালুরঘাট ভারীশিল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।  

‘জোয়ারের পানি নগরীতে যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য রেগুলেটর থাকবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নগরীর যাতায়াতেরও সুবিধা বাড়বে। ’
 
সিডিএ চেয়ারম্যান জানান, এ সড়কটি নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানবাহনগুলো শহরের উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিক এবং কাপ্তাই অভিমুখে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি নগরীর উত্তর, উত্তর-পূর্ব অংশ, কাপ্তাই থেকে আসা যানবাহনগুলো শহরের প্রধান সড়কসমূহে বাইপাস করে শাহ আমানত সেতু হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কক্সবাজারে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে।
 
‘একইভাবে নগরীর আগ্রাবাদ, নিউমার্কেট ও কোতোয়ালি এলাকার যানবাহনগুলো শহরের ভেতরের সড়কগুলো ব্যবহার না করে কর্ণফুলীর তীরবর্তী সড়ক ব্যবহার করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীর উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে চলাচল করতে পারবে। ’

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এসবি/এমএ/টিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।