এখন তা শুধু ঊনসত্তরপাড়া নয়, আশপাশের কয়েক গ্রামের প্রাণ জুড়ানো বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখিরা।
প্রতিবছরের মতো এবারও অক্টোবর মাসের শেষ এখানে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা।
দীঘির পাড়ের ছোট ছোট গাছের ঝোঁপের ডাল পালায় বসে পাখিদের তীক্ষ্ম দৃষ্টি পানির দিকে; কখন একটা মাছ পানির উপরিভাগে সাঁতার কাটতে ওঠবে? কখন গাছ থেকে একটা পোকা পানিতে উড়ে এসে পড়বে আর তা সঙ্গে সঙ্গেই গফ গফাগফ!
কালো রঙের পালক আর লালচে ধূসর বর্ণের কালো ঠোঁটের এই পরিযায়ী পাখিরা দল বেঁধে দীঘির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দাপিয়ে বেড়ায় সারক্ষণ।
স্থানীয় ছোট বড় অনেকেই দীঘির পাড়ের ঘাটে বসে সময় পার করেন এই দৃশ্য দেখতে দেখতে।
দীঘিতে মাছ চাষ করা হয় জানিয়ে এর তত্ত্বাবধায়ক লোকমান বাংলানিউজকে জানান, গত চার বা পাঁচ বছর আগে কিছু পাখি এখানে প্রথম আসে। এরপর থেকে প্রতিবছর শীতে অতিথি পাখিরা আসছে। মৌসুম শেষে আবার চলে যায়।
মাছ চাষের জন্য দীঘি ভাড়া নেওয়া ইদ্রিস নামের আরেক চাষির কঠোর দৃষ্টি রয়েছে যেন এই অতিথি পাখিদের কেউ বিরক্ত বা শিকার করতে না পারে।
ছোট একটা ডিঙ্গি নৌকাও আছে দীঘিতে, যা চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায়িএপার-ওপার। উপভোগ করা যায় পাখিদের কর্মযজ্ঞ।
এই দীঘি ছাড়াও রাউজানের নোয়াপাড়া কর্তার দীঘিতেও ভিড় করেছে অতিথি পাখির দল। যেদিন মেঘলা আকাশ থাকে ওইদিন পাখির সংখ্যাও বেড়ে যায় দীঘি দু’টিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমএ/