বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নগরীর চট্টেশ্বরী কালী মন্দিরে নিহতদের স্মরণে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে এ অর্থ তুলে দেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এসময় তিনি বলেন, কোনো মৃত্যুর আর্থিক ক্ষতিপূরণ হয় না।
'হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন তারা এখন শংকামুক্ত। তাদের চিকিৎসা ব্যয় আমরা বহন করবো। ’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছাড়াও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজিত মেজবানে মানুষের ভিড়ে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে।
ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ছুটে যান নওফেল ও আওয়ামী লীগ নেতারা। ওই বিকেলেই মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়।
সে অনুযায়ী বুধবার নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা দেওয়া হলো। এর আগে নিহতদের সৎকারের সময় প্রত্যেক পরিবারকে আরও ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
এছাড়া ঘটনার দিন নিহতদের প্রতিজনকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের ৫ হাজার টাকা দেয় জেলা প্রশাসন।
গত ১৪ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এমএ/জেডএস