বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম শিবলু কুমার দে এই আদেশ দিয়েছেন।
জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) স্বপন কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, দিয়াজ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় নিজ কক্ষ থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। এর ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পুলিশ।
২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যতম আসামি সেসময় সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।
ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফের জামিন চান আনোয়ার। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে সিআইডি। আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে দিয়াজের কবর থেকে মরদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।
চলতি বছরের গত ৩০ জুলাই দেওয়া দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিয়াজের মৃত্যু হত্যামূলক।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
আরডিজি/টিসি