প্রবেশপথের ত্রুটি না সারানো পর্যন্ত রীমা কমিউনিটি সেণ্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন।
‘দুর্ঘটনার জন্য কোন ব্যক্তিবিশেষ কিংবা এককভাবে কারো দায় আমরা তদন্তে পাইনি। তবে কমিউনিটি সেন্টারের মূল প্রবেশপথের পরে যে খাদটা আছে সেটার জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে।
‘যারা প্রয়াত এই নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তারা কোনভাবেই সচেতন ছিলেন না। তাদের সামলাতে পারেননি পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে আরো পুলিশ যদি মোতায়েন করা যেত তাহলে হয়ত ক্ষয়ক্ষতিটা একটু কম হত। সামগ্রিকভাবে পুলিশ অনেক চেষ্টা করেছে। এসব বিষয়ই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। ’ বাংলানিউজকে বলেন এস এম মোস্তাইন হোসেন
প্রতিবেদনে সুপারিশের মধ্যে কী থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান সুপারিশ হচ্ছে রীমা কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ যতদিন পর্যন্ত প্রবেশপথ ঠিক না করবে ততদিন সেটা বন্ধ থাকতে হবে। এছাড়া যে কোন বড় ধরনের আয়োজনের ক্ষেত্রে লোকসমাগমসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজকদের প্রস্তুতি থাকা এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া। আরো কয়েকটি সুপারিশ করা হচ্ছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর গভীর রাত ৩টায় নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৮ ডিসেম্বর মহিউদ্দিনের কুলখানিতে তার পরিবার নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করে।
কুলখানিতে নগরীর এস এস খালেদ সড়কে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে পদদলিত হয়ে দশজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২৫জন। ঘটনার পর পর তিন সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন পুলিশ কমিশনার।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেনের নেতৃত্বে কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার জসিম উদ্দিন এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) কাজল কান্তি নাথ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
আরডিজি/টিসি