শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এভাবেই কথাগুলো বললেন হালিশহরের ক্যাডেট ক্যাম্পাস স্টাডি হোমের পরিচালক সাইমুন পাশা মামুন।
তিনি বলেন, আগের দিন শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজে যাওয়ার পথে হালিশহর নিউ এ ব্লকের ৪ সড়কের ৪ নম্বর লেনে পাখিটিকে পথশিশুরা ধরে পা বাঁধছে।
পেঁচা উদ্ধারের বিষয়টি হালিশহর থানাকে অবহিত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, থানা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যোগাযোগ করা হয়। তারপর সেটি চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসি।
দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসার আকুতি ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে।
চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলানিউজকে জানান, হালিশহর থেকে বিরল প্রজাতির একটি সাদা লক্ষ্মী পেঁচা আনা হয়েছে। সেটি সুস্থ আছে। ওজন প্রায় গ্রাম।
তিনি জানান, লক্ষ্মী পেঁচা ১৪-১৫ বছর বাঁচে। নিশাচর পাখি। সাধারণত পোকামাকড় খায়। ইদানীং খাবারের সংকট, বাসা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চিল, শকুন, অজগর, রাজধনেশসহ নানা বন্যপ্রাণীর মতো পেঁচাও লোকালয়ে চলে আসছে। বাসা-বাড়ির কার্নিশে বাসা বাঁধছে, দেয়ালে বসা টিকটিকি, পোকামাকড় খায়।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হুতুম, ভূতুম, লক্ষ্মী তিন ধরনের পেঁচা রয়েছে বাংলাদেশে। পেঁচা নিয়ে সমাজে নানা কুসংস্কার থাকায় নির্বিচারে মেরে ফেলা হচ্ছে। এসব পেঁচা উদ্ধার করে রাতের বেলা অবমুক্ত করে দেওয়া উচিত।
এ পেঁচাটিও সন্ধ্যায় চিড়িয়াখানার নিরাপদ গাছে অবমুক্ত করে দেব আমরা।
বর্তমানে বাঘ, সিংহ, উল্লুক, সাম্বার, মযূর, কুমিরসহ ৫১ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে বলে জানান ডা. শুভ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এআর/টিসি