ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গুণীরা সমাজের আলোকবর্তিকা

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
গুণীরা সমাজের আলোকবর্তিকা গুণীরা সমাজের আলোকবর্তিকা

চট্টগ্রাম: ‘সমাজে আলোকবর্তিকা হিসেবে গুণীরা যুগের পর যুগ বেঁচে থাকেন। তাঁদের কৃতকর্মের মাধ্যমে সমাজ অনেক দূর এগিয়ে যায়। সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় গুণীজনেরাই সময়োপযোগী ভূমিকা রাখে।’

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বাঁশখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে রাণী মোহন সাহিত্য পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত স্বর্ণপদক সম্মাননা স্মারক ও সংঘদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

উপসংঘরাজ শীলানন্দ মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক মহাসচিব শাসনপ্রিয় মহাস্থবির।

প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন সংঘরাজ পূর্ণাচার ভিক্ষু সংসদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ মহাস্থবির।

সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়ুয়া, জৈষ্ঠপুরা শাক্যমুনি বিহারের অধ্যক্ষ জিনানন্দ মহাস্থবির, জলদী ধর্মরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মপাল মহাথের, শীলকূপ চৈত্য বিহারের অধ্যক্ষ দেবমিত্র মহাস্থবির, রামু রাংকোট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক কে জ্যোতিসেন থের, শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক প্রজ্ঞাজ্যোতি স্থবির।

রাণী মোহন সাহিত্য পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও শিশু সাহিত্যিক অপু বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি চন্দ্রগুপ্ত বড়ুয়া, বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, বৌদ্ধ সমিতি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি রুপন কান্তি বড়ুয়া, রাণী মোহন সাহিত্য পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অরুপ বড়ুয়া, অনুপ বড়ুয়া, শিক্ষক প্রশান্ত কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।

সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, জ্ঞানী, গুণী, বিদগ্ধজনরা দেশ ও সমাজের অলঙ্কার। তারা সমাজকে আলোকিত করে মানুষের চলার পথে বাতিঘর হিসেবে জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। পথ দেখায় সঠিক যাত্রাপথের। যারা এসব জ্ঞানী গুণীর অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে রাখে তাদের এ মহতি উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।

এছাড়াও রাণী মোহন সাহিত্য পাঠাগারের গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন বক্তারা।

সভায় শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিন গুণীজনকে স্বর্ণপদ সম্মাননা ২০১৭ প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য অশোক বড়ুয়া (মরণোত্তর), শিক্ষায় দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার নজির আহমদ (মরণোত্তর) ও সংস্কৃতিতে কীর্তনীয়া প্যারীমোহন বড়ুয়া (মরণোত্তর)। বিদর্শনসাধক ও শিক্ষাবিদ অনন্ত মোহন বড়ুয়া ও মা শচী রাণী বড়ুয়ার নামে রাণী মোহন সাহিত্য পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ পাঠাগারের মূখ্য উদ্দেশ্য পাঠ্যাভাস সৃষ্টি, গুণীজন স্মরণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।