ওই বছরের ২৪ এপ্রিল এলএনজি আমদানির প্রথম চালান নিয়ে কাতার থেকে ‘এক্সিলেন্স’ নামের একটি জাহাজ আসে কক্সবাজারের মহেশখালীতে। ওই জাহাজে এক লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস মজুদ ছিল।
চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ দেওয়া হয়। এরফলে শিল্পকারখানা ও আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের সংকট থেকে অনেকটা মুক্তি মেলে।
এছাড়া চট্টগ্রামে চালু হয় শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গ্যাস সরবরাহ পাওয়ার পর ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি।
শুধু তাই নয়, গ্যাস পাওয়ার পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের অন্যতম বৃহৎ সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডও (সিইউএফএল) সার উৎপাদন শুরু করে। গড়ে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়ার পর দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন সার।
পেট্রোবাংলা ও কেজিডিসিএল এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালে এলএনজিতে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। এলএনজিতে যুক্ত হওয়ার পর চার মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সারাদেশ গ্যাস সংকট থেকে অনেকটা মুক্ত হয়েছে। মাঝে-মধ্যে যে গ্যাস সংকট ছিল, তা শুধু এলএনজির সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে।
তারা আরও জানান, এ পর্যন্ত কাতার থেকে মহেশখালীতে তিনটি এলএনজিবাহী জাহাজ এসেছে। এরকম জাহাজ আরও আসবে। ফলে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ গ্যাস সংকট মুক্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি