চট্টগ্রাম: ১৯৭১ সালের সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেসকোর্স ময়দানে ভাষণের পর বাংলার ছাত্র-যুবক, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের জনতা সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে পাক হানাদার সোয়াত জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।
পরে শ্রমিক কর্মচারী ও জনতার প্রবল প্রতিবাদ এবং অবরোধের কারণে পাক বাহিনী অস্ত্র খালাসে ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে বন্দর ফকির হাটের পাশের মাঠে সোয়াত জাহাজ অবরোধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ দাবি জানান।
জাতীয় শ্রমিক লীগ ডক বন্দর শ্রমিক লীগ সভাপতি সোয়াত জাহাজ প্রতিরোধকারী নেতা আবদুল খালেক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি কমোডর (অব.) জোবায়ের আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান খান।
বক্তব্য দেন জহুর আহমদ, আবদুর রশিদ, বিশ্বজিৎ দেব, মেজবা উদ্দিন মোর্শেদ, শেখ নওশাদ সরওয়ার পিন্টু, মো. শাহজাহান, মো. রফিক, ইদ্রিস কেরানী, আবদুল জলিল মেম্বার, এরশাদুল আলম, ফেরদৌস আলম, মো. রফিক প্রমুখ।
কমোডর (অব.) জোবায়ের আহমদ বলেন, বন্দর শ্রমিকরা হচ্ছেন চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণভোমরা। বন্দর চালু রাখতে তাদের ভূমিকা অনন্য। বন্দর শ্রমিকরা বন্দরে শ্রম দিয়ে সারা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে চালু রাখে। সুতরাং বন্দর শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া উচিত।
তিনি সোয়াত জাহাজ প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিকরা বন্দর দিন-রাত চালু রাখেন বলেই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
এআর/টিসি