চট্টগ্রাম: মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার একটি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ইসমাইল (৩২), তার ভাই শফিউল আলম (৩৭), রিয়াজ খান রাজু (৪১), হোসেন (৬০) ও ইউনুছ মাঝি (৫৬)।
সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।
রোববার (১০ এপ্রিল) রাতে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, রাজু ১০০ জনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করলে তার মধ্যে কয়েকজনকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠাতেন। আবার কাউকে কাউকে ট্রলারে করে নিয়ে সীমান্তবর্তী কোনো জঙ্গলে রেখে আসতেন। আর বাকিদের ট্রলারে করে কয়েকদিন সমুদ্রে ঘুরিয়ে দেশের ভেতরে কোনো দ্বীপে রেখে আসতেন। ট্রলারে তোলার পর রাজু তাদের পাসপোর্ট নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতেন। তার কাছ থেকে ৩১টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। রাজু নিজেকে তার এলাকার সরকার দলীয় একটি সংগঠনের নেতা পরিচয় দিতেন। তার কাছে প্রতারিত লোকজন টাকা দাবি করলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে যে, তাদের বাড়ি বিভিন্ন জায়গায় হলেও তারা মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে নিরীহ মানুষদের প্রতারিত করে নগদ অর্থ আদায়ের মাধ্যমে সাগর পথে ট্রলার যোগে অবৈধভাবে মালোশিয়া পাঠানো যায় এবং মালোশিয়া পাঠানোর কথা বলে তাদের বাংলাদেশের কোনো এক নির্জন দ্বীপে ফেলে আসা যায় সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করার জন্য রিয়াজ খাঁন রাজুর বাসায় একত্রিত হয়েছিল। ৫ জন ভিকটিমের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ভিকটিমদের আর্থ-সামাজিক ও অসহায় অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তাদের বাংলাদেশের ভেতরে কোনো জায়গায় ছেড়ে দিয়ে মালয়েশিয়া বলে স্থানান্তর করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। গ্রেফতারকৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
এমআর/টিসি