ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঙালির জীবনে শোক ও শক্তির নির্যাস আগস্ট

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
বাঙালির জীবনে শোক ও শক্তির নির্যাস আগস্ট ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বাঙালির জীবনে শোক ও শক্তির নির্যাস আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু শোকের দহন।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও আদর্শের অমরত্ব শক্তির ঝর্নাধারা। শোকের দহন তাঁকে হারানোর কষ্ট, শক্তি ঝর্নাধারা আগামী প্রজন্মের অবিনাশী চেতনা।
বাংলা ও বাঙালির সত্তায় এগিয়ে চলার শক্তি।  

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থানকালে এসব কথা বলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

চবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। আলোচক ছিলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।

ড. শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। জাতির পিতা তাঁর স্বপ্ন পূরণে যখন সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনি হায়েনার দল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল। হত্যাকারীদের সেই মনোবাসনা পূরণ হয়নি, তারা নিজেরাই ইতিহাসে ঘৃণিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলস পরিশ্রম করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধাপে ধাপে পূরণ করছেন। বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে আমাদের।  

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ সময় ধরে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের অপেক্ষা করেছে। তিনিই উপমহাদেশের একমাত্র নেতা যিনি উপমহাদেশের মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সংযোজন ঘটিয়েছেন। সাড়ে সাত কোটি বাঙালি এ অর্জনে নিজেদের নিবেদন করেছেন বীরদর্পে। মানুষের ভালোবাসার অবিস্মরণীয় চেতনাবোধে সিক্ত হয়েছে তাঁর নেতৃত্বের দৃঢ়তা।

তিনি বলেন, বিশ্বের সব মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছেন। এ প্রতিশ্রুতি থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতন-নিপীড়ন-গণহত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বাঙালির এগিয়ে চলার পথপ্রদর্শক হিসেবে অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানবতার বার্তাটি ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষের সামনে মুছে দেননি। সারাবিশ্ব আজ তাকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের দিকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।