কলকাতা: বছর শেষ হলেই ভারতে লোকসভা নির্বাচন। দামামা বেজে গেছে দেশজুড়ে।
জোট বেঁধেছে বিজেপির বিরোধীরা। নাম দিয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স৷ সংক্ষেপে যার নাম ‘ইন্ডিয়া’। উদ্দেশ্য একটিই। মোদি সরকারকে গদিচ্যুত করা।
এই পরিস্থিতিতে রোববার (১৩ আগস্ট) দক্ষিণ কলকাতার উত্তমমঞ্চে এক কনক্লেভের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বার্তা দিল, ‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা। ’ অর্থাৎ ২৪ সালের নির্বাচনে দিল্লির মসনদে বসুক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় বাংলার জনতা।
যদিও ২৬ দলের ইন্ডিয়া জোটের কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, জোটে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে জোটের মাস্টারমাইন্ড বাংলার দল তৃণমূল যে তাদের দল প্রধানকে প্রচারে এগিয়ে রাখবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল রোববারের অনুষ্ঠান ঘেকে। রোববার শুধু কনক্লেভে নয়, শহরজুড়ে পড়ে হলুদ রঙের ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার। তাতেও বড় করে লেখা রয়েছে, ‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা। ’
বলা যায় চব্বিশের নির্বাচনের আগে এই নতুন স্লোগানের মধ্যদিয়ে প্রচার পুরোদমে শুরু করে দিল মমতার দল। সামাজিক মাধ্যমেও মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হল নয়া রাজনৈতিক উন্মাদনা।
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ মালা রায়, শুভাশিষ চক্রবর্তী, আইটি সেলের সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্য, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষসহ রোববার প্রায় সবাই ছিলেন কনক্লেভে। অনলাইনেও যোগ দেন বহু মানুষ।
ইন্ডিয়া জোটের দুটি বৈঠকেই মমতা দাবি করছেন, তিনি জোটের একজন সাধারণ সদস্য হয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান এবং প্রকাশ্যে মমতা বলেছেন, তার ফেভারিট রাহুল গান্ধী। তবে সেই ধরনের সমীকরণ বাংলার দল তৃনমূল হয়তো মনে করে না। এ কারণে সম্ভবত তারা অন্য সমীকরণে চলতে চাইছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, ১৩ আগস্ট, ২০২৩
ভিএস/আরএইচ