কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পশ্চিমবঙ্গের নদীতে দেখা মিলছে ইলিশের। আর এর জেরে মুখে হাসি বইছে মৎস্যজীবীদের।
বর্তমানে জেলেদের তথ্য মতে, দুর্গাপূজার পর থেকে ইলিশের দেখা মিলছে। তাদের অভিমত, গতবারের চেয়ে তুলনামূলকভাবে এবারে ভালো পরিমাণে ইলিশের দেখা মিলছে। সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের মালদাবাসীর কাছে গঙ্গার ইলিশ বলতে ফারাক্কার ইলিশ বোঝায়। সাধে ঘ্রাণে ফারাক্কার ইলিশ খানিকটা বাংলাদেশের ইলিশের সমপ্রায়। তাই দামও থাকে চড়া। আর এই ইলিশের ওপর ভরসা করে প্রায় সারা বছরের সংসার চলে মালদা জেলার কালিয়া চক তিন ব্লকের প্রায় হাজারখানেক জেলের।
কালিয়াচক তিন ব্লকের গঙ্গার পাড় ঘেঁষে গ্রাম হোসেনপুর, সুজাপুর দিয়ারা, ভাঙা টোলা, চক বাহাদুরপুর, কুলি দিয়ারা, পার লালপুর। এখানকার সিংহভাগ বাসিন্দাই মৎস্যজীবী। তুলনামূলক ভাঙা টোলা ও সুজাপুর দিয়ারায় মৎস্যজীবীর সংখ্যাটা বেশি। আর এসব জেলেদের ইলিশের ওপর ভরসা করেই মাছ ধরা।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের মৎস্যজীবী স্বপন চৌধুরী, সুদাম চৌধুরীদের অভিমত, এখন গঙ্গার খামখেয়ালিপনায় আমরা অতিষ্ঠ। বর্ষার সময় এমন গেছে টানা ১০ দিনেও একটাও ইলিশ মেলেনি। আর এখন ডিঙি করে মাছ ধরতে বের হলেও ইলিশ মিলছে। বড় নৌকাতে বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সে অর্থে বড় ইলিশ এখনো অমিল। যেসব ইলিশ জালে ধরা পড়ছে সেসবের ওজন ৫০০ গ্রামের মধ্যে। ৫-৬শ গ্রাম ইলিশের পাইকারি দাম পড়ছে এক হাজার রুপি। যা খুচরা বাজারে সেটা ১২০০ রুপির কাছাকাছি। এক কেজির কাছাকাছি ইলিশের দাম পড়ছে ১৫০০ রুপির বেশি। তবে এই সাইজের ইলিশ খুব একটা সহজলভ্য নয়।
ওই ব্লকের মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক মঙ্গল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, মালদহ জেলায় এই ব্লকে মৎস্যজীবীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। প্রায় হাজারের ওপর মৎস্যজীবী গঙ্গায় ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্ষার সময় গঙ্গায় ফারাক্কার ইলিশ না মেলায় জেলেরা সমস্যায় পড়েছিলেন। এখন গঙ্গার পানি কমতে শুরু করেছে এবং কিছু দিন ইলিশের দেখা মিলছে। ফলে এখন জেলেরা নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন। আমরা জেলেদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪ ২০২৩
ভিএস/এএটি