ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ব্রিকস সম্মেলনে মোদী

আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪
ব্রিকস সম্মেলনে মোদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ঢাকা: মঙ্গলবারের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রাজিলে গেলেন৷ গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর মোদী এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার বিশ্বের একাধিক নেতার মুখোমুখি হবেন মোদী৷ রোববার জার্মানিতে বসেই টিভিতে বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল দেখেন মোদী৷ যদিও রিওতে ফাইনাল ম্যাচ দেখার জন্য ব্রাজিল প্রেসিডেণ্ট ডিলমা রাউসফ প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷

কিন্তু সংসদের অধিবেশনে ব্যস্ত থাকার জন্য কেবলমাত্র ম্যাচ দেখার জন্য একদিন আগে ব্রাজিল যেতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেন মোদী৷ অন্যদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল ব্রাজিলে বিশ্বকাপ দেখতে উপস্থিত থাকায় মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারলেন না৷

অবশ্য মোদী ও মর্কেল দু'জনেই চেয়েছিলেন একান্ত বৈঠক করতে৷ কিন্তু, জার্মানি বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠায় এই সাক্ষাত্‍ সম্ভব হয়নি৷

ব্রাজিলে রওনা হওয়ার আগে সোমবার জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুট বিমানবন্দরে মোদী বলেন, নতুন উন্নয়ন ব্যাঙ্ক গঠন এবং অপ্রত্যাশিত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ আর্থিক তহবিল তৈরিতে ব্রিকস কী ভূমিকা নেয় সে দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি৷

বিভিন্ন্ আঞ্চলিক সমস্যা, আর্থিক মন্দা, বিভিন্ন্ দেশের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা সমস্যা এবং শান্তি ও স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আমি ব্রিকসের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করব৷ ব্রিকস উন্নয়ন ব্যাঙ্ক গঠনে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷

এই ব্যাঙ্কের সদর দফতর নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে৷ ভারত চায়, এই উন্নয়ন ব্যাঙ্কের সদর দফতর নয়াদিল্লিতে গড়ে উঠুক৷ অন্যদিকে চীন চায়, সদর দফতর সাংহাইয়ে নিয়ে যেতে৷
মঙ্গলবার থেকে ব্রাজিলের ফোরতালেজায় শুরু হবে দু'দিনের ষষ্ঠ ব্রিকস সম্মেলন৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক উচচ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলও ব্রাজিলে রয়েছে৷ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কে দোভাল, বিদেশ সচিব সুজাতা সিং এবং অর্থসচিব অরবিন্দ মায়ারাম৷ 

ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকেই চীনের প্রেসিডেণ্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন মোদী৷ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি চীনের প্রেসিডেণ্টের মুখোমুখি হতে চলেছেন৷

দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে মোদী জিনপিংয়ের সামনে সীমান্ত সমস্যা, ভারতে চীনের বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক ঘাটতি মেটাতে বেজিংয়ে ভারতীয় পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি বিষয়টি তুলে ধরবেন৷ সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, দুই দেশের আর্থিক, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্কের বিষয়টিও রয়েছে আলোচ্যসূচিতে৷

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।