ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পঞ্চায়েতের নির্দেশ অগ্নিপরীক্ষা

আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৪
পঞ্চায়েতের নির্দেশ অগ্নিপরীক্ষা

ঢাকা: সেই কবেকার কথা। সীতাকে সতীত্বের প্রমাণ স্বরূপ অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশ করে৷যা রামায়নে বর্ণিত আছে।

এবার এ যুগের এক গৃহবধূকে সতীত্বের প্রমাণ হিসাবে উত্তপ্ত লোহার রড দুই হাতে ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পরীক্ষার নির্দেশ দিল গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি। এ ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পুনম নামে ওই গৃহবধূ৷ অবিলম্বে পুনমেব স্বামী কুনাল ওতকার, শাশুড়ি তারা, দুই আত্মীয় লীলা ও তার ছেলে সন্দীপকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেখা চন্দ্রবংশী ৷

আদালত ওই চারজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮ এ ধারায় মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছে। পুনমের আইনজীবী জানান, ২০০৭ সালে ডিসেম্বরে পুনমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কুনালের৷ বিয়ের পর থেকেই দু'লক্ষ টাকা পণের দাবিতে পুনমের উপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার৷

পণের টাকা না পেয়ে পুনমের চরিত্রের উপর দোষারোপ শুরু করে কুনাল ও তার মা৷
এরপর তারা শর্ত দেয়, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সঙ্গে থাকতে গেলে পুনমকে আগে প্রমাণ করতে হবে সে সতী নারী৷
কিন্তু কি সেই প্রমাণ? এর সমাধান খুঁজে দেয় কঞ্জর সম্প্রদায়ের মাতবররা৷

তাঁরাই ঠিক করে দেয় সতীত্বের প্রমাণ দিতে গেলে পুনমকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে৷ হাতে গরম লোহার রড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে৷

স্বাভাবিকভাবেই এই ভয়ংকর পরীক্ষায় রাজি হননি ওই গৃহবধূ৷ প্রতিবাদ জানান পুনমের বাবাও৷ এর ফল স্বরূপ পুনম ও তাঁর পরিবারকে একঘরে করে দেওয়া হয়৷ শুধু তাই নয়, পুনমকে ‘ডাইনি' অপবাদও দেয় পঞ্চায়েতের সদস্যরা৷

অবশেষে এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হন পুনম।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।