ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ঈদ নামাজের প্রস্তুতি নাখোদা মসজিদে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪
ঈদ নামাজের প্রস্তুতি নাখোদা মসজিদে ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: পবিত্র ঈদের প্রাক মুহূর্তে সেজে উঠেছে কলকাতার নাখোদা মসজিদ। চিৎপুর অঞ্চলের কলুটোলা রোডের উপর এই মসজিদ কলকাতার সর্ববৃহৎ মসজিদ গুলির মধ্যে অন্যতম।

এটিকে কলকাতার প্রধান মসজিদ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
 
প্রায় ১৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে নাখোদা মসজিদে পবিত্র নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ঈদের দিন গোটা চিৎপুর জুড়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেন বলে জানিয়েছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

১৫১ ফিট উচ্চতার এই মসজিদে আছে তিনটি মূল গম্বুজ। ১৯২৬ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তৎকালীন সময়ে প্রায় ১৫ লক্ষ্ রুপি খরচ করে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল।

নাখোদা মসজিদের অভ্যন্তরের জলাধারে একসঙ্গে প্রায় ২৫০ মানুষ অজু করতে পারেন। গ্রানাইট পাথরের তৈরি মসজিদের সদর দরজাটি ফতেপুর সিক্রির ‘বুলন্দ দরওয়াজা’র আদলে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদে আছে ২৭টি মিনার।

আগ্রায় অবস্থিত মুঘল সম্রাট আকবরের সমাধি সৌধের আদলে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। জানাজায় সুদূর গুজরাটের কচ্ছ থেকে আগত কুচ্চি মেমন জামাত নামে  একটি দল এই মসজিদ নির্মাণ করেন।

সেই দলের নেতা আব্দুর রহিম ওসমান এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ওসমান ছিলেন এক বিখ্যাত নাবিক। সম্ভবত সেই থেকেই এই মসজিদ ‘নাখোদা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

ঈদ উপলক্ষে আলো দিয়ে সাজান হয়েছে গোটা মসজিদ। মসজিদের পাশেই জমে উঠেছে ঈদের বাজার। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা বাজারের পর সেখান থেকেই ইফতার করে নিচ্ছেন। দেদার বিকাচ্ছে ফল, কাজু, পেস্তা, খেজুর, নানা ধরনের ভাজা-ভুজি। বাদ নেই হালিম থেকে বিরিয়ানি কিছুই। আবার অনেকে কিছুটা জিরিয়ে নিচ্ছেন মসজিদ চত্বরে।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ মনে করছেন ঈদের নামাজের সময় প্রতিবারের মত বিপুল মানুষ মসজিদে আসবেন। আর সেই জনসমাগমের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মসজিদ পরিচালনা কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।