ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আঁধার ঘেরা দিন শেষ তসলিমা নাসরীনের!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৪
আঁধার ঘেরা দিন শেষ তসলিমা নাসরীনের!

ঢাকা: বাংলাদেশের লেখিকা  তসলিমা নাসরীনের ‘আঁধার ঘেরা দুঃখের দিন শেষ’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রজনাথ সিং।

শনিবার দুপুরে  তসলিমা নাসরীন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান।



আলোচনার এক পর্যায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথকে হিন্দিতে লেখা তার বই ‘উও আন্ধেরে দিন’ (আঁধার ঘেরা দুঃখের দিন) উপহার দেন।

এ সময় ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তসলিমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আপনার আঁধারে ঘেরা দিন শেষ হয়ে যাবে। ’

মাইক্রোব্লগিং সামাজিক সাইট টুইটারে  তসলিমা নাসরীন এক টুইটার বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে  তসলিমা নাসরীনের ভিসার মেয়াদ আরো বাড়ানো হবে কিনা বা হলে কতদিনের, সে বিষয়ে টুইটারে কোনো কিছু লেখেননি তিনি।

এদিকে, আগামী ১৬ আগস্ট ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে তসলিমা নাসরীনের। এ জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়াতে দেন। কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মাত্র দুইমাস ভিসার মেয়াদ বাড়ায়।

এরপর তসলিমা নাসরীন এক প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এখন আমি কোথায় যাবো!

এর পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশি লেখিকা  তসলিমা নাসরিন শনিবার দুপুরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন।

বাংলাদেশের বিতর্কিত এই লেখিকা ১৯৯৪ সাল থেকে পরবাসে রয়েছেন। ভারত সরকার সবশেষ তার সেই দেশে বসবাসের জন্য ভিসার মেয়াদ মাত্র দুই মাস বাড়িয়েছে। তসলিমা নাসরীন অন্তত এক বছরের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন।

অপরদিকে, একটি বিবৃতিতে বিচারপতি কাতজু বলেছেন, সংবাদপত্র পড়ে তিনি জেনেছেন তসলিমা নাসরীনের ভিসা মাত্র দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার মতে তাকে ভারতে বসবাসের স্থায়ী ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত।

বিচারপতি কাতজু আরো বলেন, তসলিমা নাসরীন তার ‘লজ্জা’ উপন্যাস লেখার পর একদল মৌলবাদী আর স্বার্থান্বেষী তার পেছনে লেগেছে। কিন্তু এই বইটি আমি পড়েছি, এতে বাবরি মসজিদ ভাঙার পর বাংলাদেশে হিন্দু কমিউনিটির ওপর যে অত্যাচার, নির্যাতন হয়েছে, কেবল তারই চিত্র ফুটে উঠেছে। এই বইয়ে ইসলামবিরোধী কিছুই নেই।

৫১ বছর বয়সী লেখিকা তসলিমা নাসরীন ভারতে বসবাসের জন্য আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাত্র দুই মাসের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ায় এবং বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠায়।

তসলিমা নাসরীন ১৯৯৪ সালে দেশ থেকে বিতাড়িত হলে তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ভারতে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে সুইডেনের নাগরিকত্বও পেয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন আলোচনায় তসলিমা নাসরীন ভারতে বিশেষ করে কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৪

** তসলিমার পাশে দাঁড়ালেন বিচারপতি কাতজু

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।