কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়তেই সুর চড়ালো গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। যদিও চার দিনের পাহাড় সফরের সময় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-মমতার বৈঠক এবং বৈঠকের ফলে ৬৩ কোটি রুপি গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জি টি এ) বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু পাহাড় থেকে মুখ্যমন্ত্রী সমতলে নামার পরেই সুর পাল্টালো মোর্চা। বহু বছর ধরে আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করছে গোর্খা জনগোষ্ঠী।
গোর্খাদের সভায় জি টি এ ও মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তারা বললেন, শিলান্যাসের নামে রাজনীতি চলছে। উন্নয়নের যে সব কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তা আসলে মোর্চার উদ্যোগ। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে এমন একটা প্রচার চালানো হচ্ছে যে, তার ফলে মনে হচ্ছে জি টি এ কোনো কাজ করছে না।
সরকারের ৩ বছর ৪ মাসে মধ্যে ২৮ বার পাহাড়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মোর্চার অভিযোগ, পাহাড়ে এসে তাদের ও ব্রিটিশদের গড়া বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করছেন মমতা। নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে বোর্ড গড়ে ভোটের রাজনীতি করার চেষ্টাকে পাহাড়ের মানুষ নেবেন না বলে জানান মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং।
তিনি দাবি করেন পাহাড়ের ঐক্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা বারে বারে ব্যর্থ হবে।
মোর্চার দাবি, তারা এখন কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে জোটে আছে। মোর্চা নেতা বিমল গুরুং দাবি করেন, দিল্লিতে মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে বহু কাজ আদায় করে আনছেন তিনি। সরকারি কাজে নেপালি ভাষা ব্যবহারের জন্য জি টি এ ও রাজ্য সরকারের সব দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আবারো পৃথক রাজ্যের দাবি তোলেন। তবে ‘গোর্খা ল্যান্ড’ নিয়ে আবার পাহাড়ের মানুষকে সংঘটিত করতে চাইলেও মোর্চা নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় আছে পাহাড়বাসীদের মধ্যে।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন না মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। তবে মোর্চার এই সুর চড়ানোর ফলে পাহাড়ের রাজনীতি নতুন দিকে মোড় নিতে চলেছে বলে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ৬, ২০১৪