কলকাতা: কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে প্রয়াত নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠিত হলো তার স্মরণ সভা।
উপ-হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও নজরুল গবেষক বাঁধন সেনগুপ্ত।
উপস্থিত ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী, সাহিত্যিক জিয়াদ আলি, পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্য, মিষ্টি কাজী প্রমুখ। সঙ্গীতশিল্পী ‘সোমঝতা’ এর গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আবিদা ইসলাম বলেন, নজরুল সঙ্গীত এবং ফিরোজা বেগম একাত্ম হয়ে গেছেন। তার ভাবনা থেকেই বাংলাদেশে নজরুল একাডেমির জন্ম। ফিরোজা বেগম দুই বাংলার শিল্পী। তার চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতের কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
জিয়াদ আলি বলেন, নজরুল সঙ্গীতের শুদ্ধতম সুর এবং উচ্চারণের অধিকারী ছিলেন ফিরোজা বেগম।
ফিরোজা বেগমের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে জিয়াদ আলি বলেন, ১৯৬০ সালে তিনি প্রথম ফিরোজা বেগমের সান্নিধ্য লাভ করেন। ফিরোজা বেগম কাজী নজরুল ইসলামকে ‘কাজী সাহেব’ বলে সম্বোধন করতেন।
তিনি আরও জানান, কলকাতাতেই পড়াশুনা এবং গান শেখা শুরু হয়েছিল এই মহান সঙ্গীতশিল্পীর। চিত্ত রায়ের কাছে তিনি ঠুমরি ও অন্যান্য গান শেখা শুরু করেন। আকাশবাণী রেডিওতেও তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কল্যাণী কাজী, হৈমন্তী শুক্লা, বাঁধন সেনগুপ্ত, মিষ্টি কাজী, অত্রি ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ১৭, ২০১৪