কলকাতা: মধ্যরাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কলকাতার নন্দন-রবীন্দ্র সদন থেকে আয়োজিত মহামিছিল জন সমুদ্রে রূপ নিলো। ‘হাল্লাবোল’ এবং ‘হোক কলরব’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে কলকাতা।
কলকাতায় এমন ছাত্র আন্দোলন ইতিহাসের নিরিখে এক বিরল দৃষ্টান্ত। এই মিছিলে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয়েছিল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কলকাতার বিভিন্ন কলেজ এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ছাত্র যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে।
রাজধানী নয়াদিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়েও এই ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবীণরা বলেছন, বিগত তিন দশকে ছাত্র আন্দোলনের এই চেহারা দেখেনি কলকাতা। শনিবারের এই আন্দোলনের উদ্দীপনার সঙ্গে অনেকেই তুলনা করছেন বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলন, অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের।
শুধু ছাত্র নয়, মিছিলে ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ সাধারণ মানুষও। ছিলেন চলচ্চিত্র তারকারাও। এরমধ্যে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার সুমন মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা জয়জিৎ, শহর ব্যান্ডের গায়ক অনিন্দ্য বোস প্রমুখ ছিলেন।
শনিবার প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজ উদ্যোগেই পথে নেমেছিলেন হাজারো মানুষ। মিছিলটি কলকাতার রাজভবনের দিকে এগোতে শুরু করলে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়।
পরে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে বৈঠকের পর ছাত্ররা জানান, রাজ্যপাল কিছুটা সময় চেয়েছেন। তারা আশাবাদী রাজ্যপাল এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে সরছেন না বলে জানিয়েছেন ছাত্ররা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী সোমবার ফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪