কলকাতা: গুপ্ত প্রেস, বেণীমাধব শীল, পি এম বাগচী পঞ্জিকা এবং রঘুনন্দন দুর্গা উৎসব তত্ত্ব অনুযায়ী নবমী এবং দশমী একই দিনে। এসব পঞ্জিকা অনুসারে শুক্রবার বিজয়া দশমী।
অন্যদিকে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, শনিবার দশমী হওয়ার কথা। পঞ্জিকার এই ভিন্নমতের কারণে কলকাতার দুই প্রান্তে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
কোথাও চলছে নবমীর অঞ্জলি কোথাও বা শুরু হয়ে গেছে দশমীর সিঁদুর খেলা। বারোয়ারি পূজার জৌলুসের প্রতিযোগিতার মতো ভিন্ন চিত্র উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতায়।
সনাতন পদ্ধতি মেনে উত্তর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ি আর দক্ষিণ কলকাতার মল্লিক বাড়ির পূজা উদযাপিত হয়।
এরমধ্যে শোভাবাজার রাজবাড়িতে মানা হয়, গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা। সেখানে সকালেই দেবীর বরণ শুক্রবার সকালেই শুরু হয়ে গেছে। দিনের আলো থাকতে থাকতে সেখানে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হবে।
এর উল্টো চিত্র দেখা গেল, দক্ষিণ কলকাতার মল্লিক বাড়ির পূজাতে। অভিনেতা তথা কলকাতার শেরিফ রঞ্জিত মল্লিক-এর বাড়ির পূজাতে মানা হয়, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত আর তাই ৩ তারিখ সকালে সেখানে চলছে নবমীর অঞ্জলি।
বৈপরীত্যের এ চিত্র শুধু এই দুই বাড়ির পূজাতেই নয়। কলকাতার বিভিন্ন বারোয়ারি পূজার ক্ষেত্রেও এই একই বিভিন্নতা দেখা গেছে।
এদিকে পঞ্জিকার এই মতের তারতম্যের দিকে নজর না দিয়ে উৎসবে আনন্দে মেতেছেন উৎসবমুখর কলকাতার মানুষ।
পঞ্জিকা অনুসারে শুক্রবার দশমী হলেও কলকাতার মানুষের মনের উৎসবে এদিন নবমী।
তারা বলছেন, দুর্গাপূজার আনন্দ তারা কোনো মতেই একটি দিন কমিয়ে ফেলতে রাজি নন। তাই পঞ্জিকা যাই বলুক না কেন তারা উৎসবকে ধরে রাখতে চান আরও কয়েক দিন।
কলকাতার এক বারোয়ারি পূজার মণ্ডপে এই বিতর্ক উস্কে দিতেই একদল দর্শনার্থী সমস্বরে জানালেন কোনো ভাবেই শারদ উৎসব দশমীতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না।
কারণ এর পরই আসছে ঈদ। তাই শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মেঘ নিয়ে যে উৎসব শুরু হয়েছিল মহালয়া দিয়ে সেই উৎসব চলবে ঈদ পর্যন্ত।
আর এটাই তিলোত্তমা কলকাতায় উৎসবের আসল মেজাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩ , ২০১৪