কলকাতা: কবি জসীমউদদীন লিখেছিলেন ‘প্রাণ সখিরে বংশী বাজায় কে?’ কিন্তু তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম। অন্যদিকে ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের সানাই না বেজে ওঠা পর্যন্ত কাশি বিশ্বনাথের মন্দিরের পূজা শুরু হতো না।
সোমবার কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কবির সুমন বলেন, সন্ত্রাসবাদকে কেন্দ্র করে রাজনীতি, আদতে মৌলবাদীদের পায়ের তলার জমি শক্ত করছে।
তিনি মনে করিয়ে দেন, বিদ্বেষের বিষবাষ্প সমাজ জীবনকে কুলষিত করছে।
বর্ধমানের বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে এতদিন কোনো মন্তব্য করেননি কবির সুমন। তবে অনেকদিন পর হলেও তার এই মুখ খোলা নিয়ে কলকাতা তথা ভারতের মিডিয়ার উৎসাহ ছিল লক্ষ্য করার মত।
কবির সুমন দাবি করেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল, সমাজসেবী ও শিক্ষিকা মীরাতুন নাহার, বঙ্গীয় খ্রিস্টিয় পরিষদ’র হেরোদ মল্লিক, বেঙ্গল বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী, শিখ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুখনন্দন সিং আলুয়ালিয়া, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান ও ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ইব্রাহীম সিদ্দিকি এবং কাশেম সিদ্দিকি।
ইব্রাহীম সিদ্দিকি বলেন, সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম হয় না। সন্ত্রাস পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের শান্তি নষ্ট করছে।
অনুপ্রবেশ সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ সমস্যা রোখার দায়িত্ব সরকারের।
তিনি দাবি করেন, মাদ্রাসাতে অনেক প্রান্তিক পরিবারের ছেলে মেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করে। তবে কেবল মুসলিম নয়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ছেলে মেয়েরাও শিক্ষা গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৪