কলকাতা: ক্লাস বয়কট আন্দোলন থেকে সরে এলেও এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গণভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে চলা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ।
‘হোক কলরব’ নামে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। এমনকি ভারতের বাইরে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও একাত্ম প্রকাশ করেন ওই আন্দোলনে।
ছাত্র-ছাত্রীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করলেও রাজ্য সরকার উপাচার্যকে স্থায়ী করেছে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে ৩০ ও ৩১ অক্টোবর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গান্ধী ভবনের শিক্ষক সংগঠন ‘জুটা’ এক কনভেনশনের আয়োজন করে। সেখানে ৫টি প্রস্তাব পেশ করা হয়।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে, উপাচার্যের পদত্যাগ, ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগের আইনানুগ তদন্ত, ছাত্র নিগ্রহ এবং ক্যাম্পাসে পুলিশি নির্যাতনের বিচার ভাগীয় তদন্ত, কর্তৃপক্ষের গণতন্ত্র-বিরোধী ও অসম্মানজনক সব নির্দেশ প্রত্যাহার এবং ক্যাম্পাসে পুলিশের অনুপ্রবেশ ও নজরদারি বন্ধ করা।
আন্দোলনকে সমর্থন করে কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।
এরমেধ্যে যশোধরা বাগচী, সুকান্ত চৌধুরী, শ্রুতিনাথ প্রহরাজ, পবিত্র সরকার, সুজন চক্রবর্তী উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪