কলকাতাঃ কলকাতায় শেষ হল চতুর্থ বাংলাদেশ বইমেলার। চতুর্থবারের মতো এই মেলর শুরু হয় গত শনিবার (২৫ অক্টোবর)।
মোট ৪০টি প্রকাশনী এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। মেলার শেষ দিন নাচে গানে অন্যরকম মেলা দেখলেন কলকাতার মানুষ। মেলার প্রাঙ্গন মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল।
মেলার শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি সচিব ড: রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মিঞা মহম্মদ মইনুল কবীর।
এছাড়া ভাষা ও চেতনা সমিতি সম্পাদক অধ্যাপক ইমানুল হক, ঢাকা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক আলমগীর সিদ্দিকী, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনীর সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেমিনারে অংশ নেন।
অধ্যাপক ইমানুল হক বলেন, বাংলাদেশে বইমেলায় ৫০ কোটি বই বিক্রি হয় আর ১১ কোটি জনসংখ্যার পশ্চিমবঙ্গে বিক্রি হয় ১৮ কোটি।
এবার কলকাতার বাংলাদেশ বই মেলা বেশ কিছু প্রকাশক মুনাফার মুখ দেখেছেন বলে জানান মিঞা মহম্মদ মমিনুল কবীর।
তিনি বলেন, যারা মুনাফার মুখ দেখেননি তারাও আগামী বছর মেলায় অংশগ্রহণ করবেন এটা জেনে বেশ ভালো লেগেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে নন্দন চত্বর থেকে মোমবাতি মিছিল করে রবীন্দ্রসদনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যের পাদদেশে মোমবাতি রাখেন মেলায় উপস্থিত পাঠক, প্রকাশক এবং কর্মকর্তারা। আগুনের পরশমণি গানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বইমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪
**কলকাতায় শুরু হলো বাংলাদেশ বইমেলা