কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পর ‘প্রতিবাদে’ পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো-সিবিআই’র দিকে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে মদন মিত্রকে গ্রেফতার করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন-এ নিয়ে কলকাতায় নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
সারদা কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্যকে কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রজত মজুমদারও।
তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য সৃঞ্জয় বোসকে গ্রেফতার করা সারদা কাণ্ডে।
জেরার মুখে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিসহ আরও বেশ কয়েকজন।
কিন্তু এর আগে মমতা সামনা-সামনি রাজপথে নেমে আসেন নি। তার নির্দেশে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বুদ্ধিজীবী মহল।
কখনও দেখা গেছে এসব গ্রেফতারির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবার কখনও দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় কথা বলেছেন।
তবে এই প্রথম মুখ খুললেন এবং পথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে আরও নেতা বা মন্ত্রীদের গ্রেফতারি বা জেরার আশঙ্কা করছেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করার দাবিতে মিছিল করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বামফ্রন্ট।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, সিবিআই তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে হয়তো তৃণমূলের প্রথম সারির কয়েকজন নেতাকে জেরার মুখে পড়তে হতে পারে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ আরও বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রসঙ্গও উঠতে পারে। আর সেকারণেই মদন মিত্রের গ্রেফতারের পর মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমেছেন।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এই ঘটনায় বেশ বিচলিত-তা বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যেই ধরা পড়ে। এ নিয়ে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সভায় অশালীন ভাষার ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। যদিও মমতা তা উড়িয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫ , ২০১৪