কলকাতা: আর মাত্র ৬ দিন। তারপরই পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচন।
আর প্রতিপক্ষকে একদমই পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। উত্তরের জেলাগুলো সফরে এই বার্তাই দিচ্ছেন তিনি।
মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুঁড়িতে তার সভায় ব্যাপক জনসমাগম শাসকদল সিপিএমকে চিন্তায় ফেলেছে।
প্রতিটি জনসভায় মমতা ব্যানার্জি তার মাত্র কয়েক বছরের রেলমন্ত্রকের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনকে তুলোধুনো করছেন।
বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙনে জর্জরিত এসব জেলায় ভোটারদের কাছে মমতা তার বক্তব্যে বলছেন- ‘সিপিএম গত ৩৪ বছরে কিছুই করেনি। কেন এই জেলাগুলোতে শিল্প হয়নি? রাজ্যে মা মাটি মানুষের সরকার হলে এখানেও শিল্প হবে। ’
তবে তার স্পষ্ট ঘোষণা, ‘কোনভাবেই কৃষি জমি নিয়ে শিল্প হবে না। ’
এক কেন্দ্রের প্রচারে তিনি বলেন, ‘রেলপ্রকল্প নিয়ে সিপিএম রাজনীতি করেছে। ’
উত্তরবঙ্গে চালু করা রেলের পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন কিছুই না পেয়ে যদি এতো কাজ করতে পারি, তাহলে কিছু পেলে তো অনেক কিছুই করতে পারবো। ক্ষমতায় এলে দেখিয়ে দেব উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়। ’
তপসিলি জাতি-উপজাতি ও সংখ্যালঘুদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের শাসক দল এদের জন্য কিছুই করেনি। ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুদের জন্য সাচার কমিটির সুপারিশ কার্যকর করা হবে। ’
বালুরঘাটে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মমতা বলেন, ‘হিলির মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্রের কোন উন্নয়ন হয়নি বামশাসনে। ’
বামদের পক্ষ থেকে মা, মাটি, মানুষের শ্লোগানকে কটাক্ষ করা নিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘যারা মা, মাটি, মানুষকে অবজ্ঞা করে তাদের একটিও ভোট নয়। ’
তিনি বলেন, ‘জোটের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানে সিপিএমের হাতকে শক্ত করা। ’
এই সফরে মমতার বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছে উত্তরের জেলায় নতুন একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, সেচের উন্নয়ন ও পাট শিল্পের প্রসারের কথা।
প্রসঙ্গত, উত্তরের জেলাগুলি বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে মমতার একক ক্যারিশমায় প্রতিটি জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম নতুন কোন বার্তা আনছে কিনা তা দেখার জন্য ১৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১১