কলকাতা: এয়ার কন্ডিশনের (এসি) কারণে ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার খবরের পরে বেশ আলোড়ন পড়েছে বিভিন্ন মহলে।
কলকাতার এক বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে খবর নিয়ে জানা গেল, যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরও কলকাতার আইটি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মোটা বেতনের কর্মকর্তা থেকে বড় ব্যবসায়ী, অনেকের শরীরে যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এদের বেশিরভাগই কোনোদিন অপুষ্টির শিকার ছিলেন না। এমনিতেই এমডিআর-টিবিতে ভোগা রোগীর সংখ্যা সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতে।
২০১৩ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, ভারতে প্রায় ৬৪ হাজার মানুষ বিভিন্ন ধরনের যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত।
কলকাতার চিকিৎসকরা বলছেন, বিত্তবানদের যক্ষ্মা হয় না, এ ভ্রান্ত ধারণার ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। এর ফলে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু কেন এ সমস্যা! সাম্প্রতিক কালে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে ভারতে যক্ষ্মা গবেষণার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান চেন্নাইয়ের টিউবারকিউলোসিস রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথন।
তিনি জানান, আধুনিক জীবনে বাড়িতে এসি ও বিভিন্ন অফিসে কেন্দ্রীয়ভাবে এসি ব্যবস্থা যত বাড়ছে, তত যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
একই মত দিলেন কলকাতার চিকিৎসকরাও। তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় রেজিস্টার্ড রয়েছে সাড়ে চার হাজার যক্ষ্মা রুগী। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসক ও বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায় না। ফলে এ পরিসংখ্যান ও বাস্তব পরিস্থিতির পার্থক্য রয়েছে।
তবে কলকাতার চিকিৎসকদের অনেকেরই মত, এসির ব্যবহার বাড়লে আরও যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফ্রেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫