ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে শৌচাগার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে ‘লজ্জা দেয়াল’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৫
পশ্চিমবঙ্গে শৌচাগার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে ‘লজ্জা দেয়াল’ ছবি: সংগৃহীত

কলকাতাঃ শৌচাগার ব্যবহারের পক্ষে সচেতনতা তৈরিতে এক অভিনব উদ্যোগ নিলো পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা প্রশাসন। জেলার ৩০০ পাড়া কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত হলো পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হবে ‘লজ্জা দেয়াল’ (ওয়াল অব শেম)।



নদীয়ার জেলাশাসক পিবি সেলিম জানালেন, শৌচাগার ব্যবহারে সচেতনতা তৈরি করতে জেলা প্রশাসন, গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে এই উদ্যোগে রয়েছে সাধারণ মানুষও।

সরকারের তরফ থেকে শৌচাগার নেই এমন ৯৫ শতাংশ বাড়িতে শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও যদি কোন বাড়ির সদস্য শৌচাগার ব্যবহার না করে খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করে তবে তার ছবি সেই গ্রামের একটি বিশেষ দেয়ালে তার অপরাধের বর্ণনাসহ টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এটাই হবে ওয়াল অব শেম।

এছাড়াও জেলা প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করে ধরা পড়বেন তাদের সরকারি প্রকল্পে কাজ পাওয়ার তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হতে পারে। শুধু তাই নয় তাদের নাম দারিদ্রসীমা তালিকাভূক্তি থেকেও বাদ পড়বে।

যেসব বাড়িতে শৌচাগার ছিলো না তার বেশির ভাগ বাড়িতে তা বানিয়ে দেওয়ার পরেও অনেকক্ষেত্রে বাড়ির লোকেরা শৌচাগার ব্যবহার করছেন না। এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের এই অভিনব উদ্যোগ।

এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানত বয়ষ্করা তাদের দীর্ঘ দিনের অভ্যাসের কারণেই শৌচাগার ব্যবহার করতে চান না। তাদেরসহ যারাই কাজটিতে অভ্যস্ত নয় তাদের সচেতন করতেই এই উদ্যোগ।

‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মাধ্যমে ২০১৯ সালের মধ্যে জেলার ১০০ শতাংশ বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।

নদীয়া জেলায় কর্মরত ইউনিসেফ-এর প্রতিনিধি শ্যাম দাভে জানিয়েছেন, এ ধরনের সামাজিক নজরদারি সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

নদীয়া জেলার সাধারণ মানুষও মনে করছে এই প্রচেষ্টা সফল হলে জেলার মানুষের স্বাস্থ্যমানের অনেকটা উন্নতি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ১০ মার্চ , ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।